রামগড়ে উদ্বুদ্ধকরুণ সেমিনারে বক্তারা- খাগড়াছড়ি রামগড়ে হালদা নদীর মৎস্য প্রজনন রক্ষায় সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে

রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরা,রামগড় (খাগড়াছড়ি) উপজেলা সংবাদদাতা:
দেশে কার্প জাতীয় প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননের গুরুত্বপূর্ণ নদীর উৎস হলো রামগড় উপজেলায় অবস্থিত হালদা নদী। বাংলাদেশের জলবায়ু কৃষি চাষের উপর যেমন উপযোগী তেমনি মৎস্য চাষের জন্য উপযোগী। দেশে তেল ও গ্যাস সম্পদ শেষ হতে পারে কিন্তু মৎস্য সম্পদ শেষ হবে না। আমার দেশ, আমার নদী আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। তাই মৎস্য সম্পদকে সুরক্ষায় রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক সহ আমাদের সবাইকে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে। হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের (২য় পর্যায়)আওতায় অনুষ্ঠিত সভা মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১টায় রামগড় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র ও মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অংশীজনদের স্টেকহোল্ডার উদ্বুদ্ধকরণ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য অধিদফতরের হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের (২য় পর্যায়) সহযোগিতায় ও রামগড় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি জেলা মৎস্য অফিসার ড. রাজু আহমেদ। এতে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্যে রাখেন মৎস্য অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগ কুমিল্লার উপ- পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন।
এসময় রামগড় উপজেলা মৎস্য অফিসার মো.মনোয়ার হোসেন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, খাগড়াছড়ি জেলার এনএসআই এর যুগ্ম পরিচালক নাছির মাহমুদ গাজী, রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ মো.মাঈন উদ্দিন, সহকারী তথ্য অফিসার খন্দকার তৌহিদ, আইসিটি কর্মকর্তা রেহান উদ্দিন, হালদা নদীর মূখ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি ও রামগড় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো.নিজাম উদ্দিন লাভলু, রামগড় সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সমির মজুমদার, কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক উত্তম নাথ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তাগন তাঁদের বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, হালদা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত ১৭টি খাল এবং চারটি নদী যথাক্রমে কর্ণফুলী, শিকলবাহা, চাঁদখালী এবং সাঙ্গু নদীতে প্রজনন মৌসুমে মাছ শিকারসহ হালদা এলাকায় বৃক্ষ নিধন রোধ ও বনায়ন তৈরী, বালু উত্তোলন, পাহাড় কাটা, তামাক চাষ বন্ধে প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি- মৎস্যজীবিসহ সাংবাদিকদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে।