রামগড়ে বিএনপি ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে সম্প্রীতি সমাবেশ
রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরা,রামগড়: কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মসংস্থা বিষয়ক সহ সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ ওয়াদুদ ভূইয়া বলেছেন, যারা ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধা নিয়েছে তাদের যায়গা বিএনপিতে হবে না। যে সকল নেতাকর্মীরা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে জেল, জরিমানা, নির্যাতনের শিকার, পুলিশের ভয়ে পালিয়ে সভা সমাবেশ করেছেন, দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন তারাই হলো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সৈনিক। তারাই আগামীর অহঙ্কার তারেক জিয়ার সৈনিক। কোন সুবিধাভোগীর যায়গা বিএনপিতে হবে না।
১১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে রামগড় বাজার বাসস্ট্যান্ড প্রাঙ্গণে রামগড় উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে শান্তি সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ওয়াদুদ ভূইয়া আরো বলেন,পার্বত্যাঞ্চলের পাহাড়ী -বাঙ্গালীর মানুষ জন শান্তি প্রিয়। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করে দেশকে নতুনভাবে গঠন করার এখনই সঠিক সময়। এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও সকল ধর্মের মানুষের মাঝে সম্প্রীতির সমাজ গড়তে এগিয়ে আসার আহবান জানান। তিনি বলেন,দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে আপনারা সুসংগঠিত থাকতে হবে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানের মাধ্যমে যে বিজয় অর্জন হয়েছে সেটাকে কাজে লাগিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি আবারো বিজয়ী হবে, ইনশাআল্লাহ।
জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও রামগড় উপজেলা ও পৌর বিএনপি’ র সমন্বয় হাফেজ আহম্মদ ভূইয়া’র সভাপতিত্বে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেফায়েত উল্যাহ ও পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াছ এর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রবীণ চন্দ্র চাকমা, জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছার, জেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা জাকিয়া জিনাত বীথি, জেলা বিএনপি’র যুগ্ন- সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মালেক মিন্টু ও মোশারফ হোসেন এবং অনিমেষ চাকমা রিংকু, জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল রব রাজা।
উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. ইব্রাহিম খলিল, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সাফায়েত মোর্শেদ ভূঁইয়া মিঠু, পৌর বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন হারুনসহ জেলা উপজেলার দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার পাহাড়ী- বাঙ্গালী এবং সাধারণ মানুষ অংশ নেন।