লক্ষ্মীছড়ির মাষ্টার পাড়ায় মেলায় জুয়া খেলার প্রভাব, হাঁট-বাজারে ক্রেতা শূন্য
মোবারক হোসেন: খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় মাষ্টার পাড়া এলাকায় আয়োজন করা হলো ঐতিহ্যবাহী মেলা। এই মেলা প্রতিবছরই স্থানীয়দের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়ে থাকে। বৌদ্ধ ধর্মালম্বী ছাড়াও দুর দুরান্ত থেকে সকল ধর্মের মানুষের এই মেলায় সমাগম ঘটে। আয়োজন করা হয় যাত্রা পালাও। বিনোদনের খোরাক হিসেবে নারী-পুরুষ, য্বুক-যুবতী এমনকি শিশুরাও এই মেলা উপভোগ করে। কিন্তু পুরো মেলার এই মহতি উদ্যোগকে ভিন্ন মোড় নেয় জুয়া খেলা (ডাব্বা) কিংবা কেসিনোর মত অবৈধ খেলার আয়োজনকে সুযোগ দিয়ে। যদিও আয়োজকরা এটি মানতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য ডাব্বা খেলা না দিলে মেলা জমে না। এ কথার কতটুকু যুক্তি আছে, বিবেচনার ভার সচেতন মহলের কাছে।
গত রবিবার ও সোমবার (৮-৯মার্চ) মাস্টার পাড়ায় আয়োজন করা হলো এই মেলার। এই মেলাকে ঘিরে বসানো হয় ডাব্বা খেলা। মেলার প্রথম দিন প্রায় ৩৫টি ডাব্বার কোর্ড বসানো হয়। একটি সঙ্গবন্ধ জুয়া চক্র হাতিয়ে নেয় কোটি টাকা। খেলায় নি:স্ব হয় তবে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী গিয়ে অবৈধ এ খেলা বন্ধ করে দেয়। এর পরেও গোপনে চলে এ খেলা। মেলার আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল খেলার বিষয়টি না লেখার জন্য। তবে এ প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জানি এলাকার ক্ষতি, না বুঝে নেশায় পরে অনেকে জুয়া খেলে টাকা পয়সা হারায়। প্রথম দিন রমরমা জুয়া হলেও মেলার দ্বিতীয় দিনে প্রশাসনের কড়াকড়ি থাকায় একেবারে সীমিত আকারে চলে এ জুয়া খেলা।
লক্ষ্মীছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ হুমায়ুন কবির বলেন, মেলা আয়োজনের কথা শূনেছি। খবর পেয়ে মেলা প্রাঙ্গনে গেলেও কোনো জুয়া খেলা আমাদের চোখে পরেনি। পুলিশের পক্ষ হতে নিরাপত্তা যাহাতে বিগ্নিত না হয় সেইটিই নজরে রেখেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ ইকবাল বলেন, এ ধরনের মেলা আয়োজন করতে হলে জেলা প্রশাসকের অনুমোতি প্রয়োজন হয়। কিন্তু আয়োজকরা সেটি করে নি। তবে জুয়া খেলার বিষয়ে কেউ অভিযোগ নিয়ে না আসলেও পরিদর্শনে গিয়ে অপ্রীতিকর কোনো কিছু দেখতে পায়নি। তবে আড়ালে হলেও হলেও এটি কোনোভাবে সমর্থন করা যায় না।
এদিকে বুধবার হাঁটের দিন ছিল ক্রেতা শুন্য। অনেকেই বলছেন মেলার জুয়া খেলার প্রভাব পড়েছে হাঁট-বাজারের উপর। আসন্ন বিজু উৎসবেও এর প্রভাব পরবে বলেও অনেকে ধারনা করছেন।