লক্ষ্মীছড়ির ৩ ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রতিদ্বন্ধি স্বতন্ত্র, জীতবে কে ?
মোবারক হোসেন: ৩ মেয়াদে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আওয়ামীলীগ। স্থানীয় নির্বাচন হচ্ছে দলীয় প্রতীক নিয়ে। যদিও বিএনপি এই নির্বাচনে না আসার ঘোষণা দিয়েছে অনেক আগে থেকেই। স্থানীয় নির্বাচনের ৪র্থ ধাপে চলেছে খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ৩ইউপি নির্বাচন। আগমাী ২৬ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ। ইতি মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন অফিস ও উপজেলা প্রশাসন। পূর্বে যে কোনো নির্বাচনে আঞ্চলিক দলের সরাসরি কিংবা পরোপক্ষভাবে নিজেদের মনোনীত প্রার্থী দিলেও এবার নির্বাচনে তেমনটা লক্ষ্য করা যায় নি। দেখাে গেছে মনোনয়নপত্র দাখিল, প্রত্যাহার এমনকি নির্বাচনী প্রচারণায় ভিন্নতা লক্ষ্য করা গেছে যা দৃশ্যমান অনেকটাই স্পষ্ট। এক প্রার্থী অপর প্রার্থীকে বাঁধা দেয়া কিংবা হুমকি, ধমকি কোনো অভিযোগই এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। সকল প্রার্থী নির্ভিগ্নে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আঞ্চলিক দলের সমর্থন রয়েছে এমনটাও দাবি করছেন কোনো কোনো প্রার্থী তবে এ বিষেয় কোনো প্রার্থী সাংবাদিকদের কাছে সরাসরি মুখ খুলেন নি।
মূলত: প্রতিদ্বন্ধিতা হবে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে। নৌকা জীতবে না স্বতন্ত্র প্রার্থী জীতবে এমন প্রশ্ন এখন সর্বত্র। চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ভোটের হিসেবে-নিকেশ, চলেছ চুলছেড়া বিশ্লেষন প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে। ঘরে ভেতরে-বাহিরে সর্বত্র চলছে আলোচনা। আবার চায়ের আড্ডাতেও থামিয়ে রাখতে পারছে না তর্ক-বিতর্ক। আঞ্চলিক দল সরাসরি সমর্থন না দিলেও ভোটের মাঠে প্রভাব থাকতে পারে এমনটাও মনে করছেন কেউ কেউ। সেই হিসেব-নিকেশও করছেন প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীরা। কৌশল অবলম্বন করে ভোটের মাঠে কে কতটা এগিয়ে থাকবেন সেই অপেক্ষা করতে হবে ২৬ ডিসেম্বর ভোটের ফলাফল পর্যন্ত।
লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ৪জন। সরকার সমর্থীত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন উষাজাই চৌধুরী। বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষ্মীছড়িআওয়ামীলীগের সভাপতি রে¤্রাচাই চৌধুরীর আপন ভাতিজা হিসেবে কাকা যেমন রয়েছেন তাঁর পাশে তেমনী উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের আরো এক সিনিয়র নেতা বাবুল চৌধুরীও রয়েছেন উষাজাই চৌধুরীর পাশে। পাশে রয়েছেন নেতা-কর্মীরাও। বিজয় ছিনিয়ে আনতে জয়ের প্রত্যাশায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন উষাজাই চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে। সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়ন বিবেচনায় জয় আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উষাজাই চৌধুরীর হবে এমনটাই আশাবাদী। প্রতিদিনিই পাড়া-মহল্লায় গণ সংযোগ চালানোর পাশাপাশি প্রচারণা-মাইকিং চলছে জোড়ে-সোড়েই। একেই বারেই নতুন মুখ জয়ের মালা উষাজাই চৌধরীর গলে পড়বে এমনটাই প্রত্যাশা নেতা-কর্মীদের।
অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান প্রবিল কুমার চাকমা। লড়ছেন আনারস প্রতীক নিয়ে। বিগত দিনে যেমনি আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন এবারো আমাকে সাধারণ মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন বলে আশাবাদী। তবে ভোটের মেরুকরণে কিছুটা শংকায় প্রবিল চাকমা। কেননা সরকার দলীয় নৌকা প্রতীকের নির্বাচন থাকায় ভগ্নিপতি উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরীকে এবার পাশে পাচ্ছেন না আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রবিল কুমার চাকমা। যেমনটা পেয়েছিলেন আগের নির্বাচনে। তবে সূত্রমতে আঞ্চলিক দল ইউপিডিএফ’র সমর্থন তাঁর পক্ষে রয়েছে বলে লোকমুখে শোনা যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি। শেষ হাসিটা তিনিই হাসবেন এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রবিল কুমার চাকমা।
চশমা প্রতীত নিয়ে লড়ছেন জয়া চাকমা। পর পর দুইবারের লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য নির্বাচি হয়েছেন ভোটের মাধ্যমে। ২০১১ সাল থেকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে সকলের পরিচিত মুখ জয়া চাকমা। এবার ভোটযুদ্ধে নেমেছেন চেয়ারম্যান পদে। উপজেলার এক মাত্র নারী প্রার্থী জয়া চাকমার ভরসা পর পর দুইবার জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করে আসছি। চেষ্টা করেছি মানুষের উপকার করার জন্য। যেখানে যাচ্ছি সেখানেই বিপুল সারা পাচ্ছি। জয় আমার পক্ষেই আসবে আমি তা বিশ^াস করি। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি বিজয়ী হলে নারী ও শিশুদের নিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করবো। বিশেষ করে নারীরা আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে সেই প্রত্যাশাই করছি।
এদিকে প্রচারণায় অনেকটা কম দেখা গেলেও ঘরে বসে নেই আর এক মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বপন চাকমা। তাঁর ভোট ব্যাংকে যদি কেউ ভাগ বসাতে না পারে বিজয় কেউ ঠেকিয়ে রাখবে পারবে না বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, আমার জন্মস্থান এই ইউনিয়নে যদিও কিছু সময়ের জন্য বর্মাছড়ি ইউনিয়নের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার ফলে সেখানে আমি কাজ করেছি। এবার আমি সেবা করতে চাই লক্ষ্মীছড়িইউনিয়বাসীর জন্য। লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নে মোট ভোটার ৮হাজার ৮৭২জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪হাজার ৫৮৮ এবং নারী ভোটার ৪হাজার ২৮৪টি।
দুল্যাতলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতনাত্র প্রার্থী ত্রিলন চাকমা চশমা প্রতীক নিয়ে এবং সরকার দলীয় সমর্থীত প্রার্থী উচাই প্রæ মারমা নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন।
বর্মাছড়ি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ৫জন। মৌজা হেডম্যান সুইশালা চৌধুরী আনারস প্রতীক, হরিমোহন চাকমা ঘোড়া প্রতীক, নীলবর্ন চাকমা নৌকা প্রতীক, প্রতুল কান্তি চাকমা মটরসাইকল প্রতীক এবং পাইসুইখই মারমা চশমা প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাচন অফিসার কিরণ বিকাশ চাকমা জানান, ২৬ ডিসেম্বর ৩টি ইউনিয়নেই ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হবে। লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ৩ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৯হাজার ৮২৭জন। লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নে ৮হাজার ৮৭২। দুল্যাতলী ইউনিয়নে ৫হাজার ৮০৫ এবং বর্মাছড়ি ইউনিয়নে ৫হাজার ১৪৭জন ভোটার রয়েছে।
এদিকে দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নের ইন্দ্রসিং কার্বারী পাড়া(শুকনাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়), বর্মাছড়ি ইউনিয়নের উল্টাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পেক্কুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ভোটের সররঞ্জাম যাবে হেলিকপ্টার যোগে। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ, ভোটারদের স্বত:স্ফুর্ত অংশ গ্রহণ ফলাফলের হিসেব-নিকেশ পাল্টে যেতে পারে বলে সাধারণ মানুষের অভিমত। তবে প্রশাসন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে বদ্ধপরিকর বলে আইন-শৃঙ্খলা সভায় সাব জানিয়ে দিয়েছেন।
সংরক্ষিত নারী আসন ও সদস্য পদে কে কোন প্রতীক নিয়ে লড়ছেন
লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়ন: সংরক্ষিত নারী আসন (১,২,৩), কনিকা চৌধুরী(কলম), ফাতেমা বেগম(সূর্যমূখী)। (সংরক্ষিত নারী আসন ৪,৫,৬) পারভিন বেগম(সূর্যমুখী), শঙ্খ রানী চাকমা(মাইক), বাপ্পী রানী দে(তালগাছ) ও রিনা বেগম(বই)। (সংরক্ষিত নারী আসন ৭,৮,৯) মেরিনা চাকমা(হেলিকপ্টার), টুনি চাকমা(জিরাফ) ও কুন্তিমালা চাকমা(সূর্যমুখী)। সাধারণ সদস্য পদে (১নং সদর ওয়ার্ড) গিরী তালুকদার টিউবওয়েল)ও মো: আব্দুল ওহাব (ফুটবল)। (২নং ওয়ার্ড) সাগর চাকমা (টিউবওয়েল), সার্যা কুমার চাকমা(ফুটবল) ও জয়নাল আবেদিন(মোরগ)। (৩নং ওয়ার্ড) রতœ বিন্দু চাকমা(টিউবওয়েল), নিচাই প্রæ চৌধুরী(তালা), ও চিনি অং মারমা(ফুটবল)। (৫নং ওয়ার্ড) নুর মোহাম্মদ বেপারী(ফুটবল), শাহজাহান শেখ(মোরগ) ও রেজাউল করিম (ভ্যান গাড়ি)। (৬নং ওয়ার্ড) বনকুমার চাকমা (ফুটবল), আব্দুল খালেক(ভ্যান গাড়ি), ইউসুফ আলী রাজু মোরগ) ও ধীরেন্দ্র চাকমা(টিউবওয়েল)। (৭নং ওয়াড) শুক্রমনি চাকমা (টিউবওয়েল), সাথোয়াই প্রæ মারমা(মোরগ)। (৮নং ওয়ার্ড) শিমুল বিকাশ চাকমা(টিউবওয়েল) সুরেশ কুমার চাকমা(তালা) ৯নং ওয়ার্ড) অসিম চাকমা(ফুটবল), ভূবন বিকাশ চাকমা(বৈদ্যুতিক পাখা), উষা মং কার্বারী(টিউবওয়েল), সুজেন্দ্র চাকমা(মোরগ)
দুল্যাতলী ইউনিয়ন: সংরক্ষিত নারী আসন (১,২,৩)মিসং মারমা(সূর্যমুখী), কালাসোনা চাকমা(মাইক), আচিং মারমা(বই) ও সাধনা চাকমা(হেলিকপ্টার)। (সংরক্ষিত নারী আসন ৪,৫,৬) মরিয়ম বেগম(মাইক), সামাউ মারমা(তালগাছ) ও কাজল আক্তার(বই)। সংরক্ষিত নারী আসন ৭,৮,৯ নন্দী সোভা চাকমা(সূর্যমুখী), কুসুমতারা (হেলিকপ্টার)। সাধারণ সদস্য পদে (১নং ওয়ার্ড) উসাচিং মারমা(টিউবওয়েল) ও অংসুই প্রæ মারমা(ফুটবল)। (২নং ওয়ার্ড) নিপন চাকমা(ফুটবল), সেনয় কুমার চাকমা(মোরগ), নয়ন বিকাশ(বৈদ্যুতিক পাখা), জোসিকা চাকমা(টিউবওয়েল) ও বিনয় কুমার চাকমা(আপেল)। (৩নং ওয়ার্ড) মং মং মারমা (তালা) হলাপ্রæচাই মারমা(টিউবওয়েল)। (৪নং ওয়ার্ড) রফিকুল ইসলাম(টিউবওয়েল), হলাথোইচিং মারমা(মোরগ), নুর হোসেন(ফুটবল), আজিজুল ইসলাম ফকির(তালা)। (৫নং ওয়ার্ড) দেলোয়ার হোসেন ফরাজী(মোরগ), সোহেল মাহমুদ হাফিজ(বৈদ্যুতিক পাখা), মো: আব্দুর রব(সোহাগ)(ফুটবল), তারা মিয়া(টিউবওয়েল) ও মো: ইয়াছিন গাজী(তালা)। (৬নং ওয়ার্ড) অমর জ্যোতি চাকমা(ফুটবল), ও অংগ্যজাই মারমা(টিউবওয়েল)। (৭নং ওয়ার্ড) বিমল কান্তি চাকমা(ফুটবল), প্রদীপ চাকমা(টিউবওয়েল) ও সাধন রঞ্জন চাকমা(মোরগ)। (৮নং ওয়ার্ড) সাগর চাকমা(ফুটবল), অনিকা চাকমা(মোরগ) ও জীবন চাকমা(টিউবওয়েল)। (৯নং ওয়ার্ড) রবিধন চাকমা(টিউবওয়েল), দয়ালা চাকমা(বৈদ্যুতিক পাখা), জ্যোতিলাল চাকমা(মোরগ) ও সুরসেন চাকমা(ফুটবল)।
বর্মাছড়ি ইউনিয়ন: সংরক্ষিত নারী আসন (১,২,৩) সামাচিং মারমা(কলম),অয়ক্রই প্রæ মারমা(সূর্যমুখী) ও সুবিতা চাকমা(তালগাছ)। সংরক্ষিত নারী আসন (৭,৮,৯) অনিতা চাকমা (কলম) ও সবিতা চাকমা(তালগাছ)। সাধারণ সদস্য পদে (১নং ওয়ার্ড) পূর্ণ মোহন চাকমা(আপেল), ললিত কুমার চাকমা(বৈদ্যুতিক পাখা), জ্যোতি কুমার চাকমা(ফুটবল) ও দীপন চাকমা(টিউবওয়েল)। (২নং ওয়ার্ড) শান্তি চাকমা (ভ্যান গাড়ি), মংসাজাই মারমা (টিউবওয়েল), সাচিং নু মারমা (তালা), মেমং মার্মা(ফুটবল) ও চাইহ্লা প্রæ মারমা(মোরগ। (৩নং ওয়ার্ড) পাইচি মং মার্মা(মোরগ), হলা চাই অং মার্মা (ফুটবল), পাইচানাই মার্মা(টিউবওয়েল) ও তপন চাকমা (তালা)। (৫নং ওয়ার্ড) নিতিময় চাকমা (মোরগ), পনিল বিকাশ চাকমা (আপেল), ¯েœহ কুমার চাকমা(টিউবওয়েল) ও রিপন কান্তি চাকমা (বৈদ্যুতিক পাখা)। (৬নং ওয়ার্ড) চাইসুই মং মার্মা জয়(ফুটবল), রুবেল মার্মা (মোরগ), মংসাহলা মারমা(টিউবওয়েল)। (৭নং ওয়ার্ড) সোনা মোহন চাকমা(টিউবওয়েল), লক্ষীধন চাকমা(তালা), মায়া রঞ্জন চাকমা মোরগ) ও তপন চাকমা(ফুটকল)। (৮নং ওয়ার্ড) সন্তু বিকাশ চাকমা (আপেল), বিনয় কান্তি চাকমা(বৈদ্যুাতক পাখা), ও দীলিপ চাকমা(ফুটবল)।