• January 15, 2025

লক্ষ্মীছড়ি গুচ্ছ গ্রামের চলাচলের রাস্তা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন

স্টাফ রিপোর্টার: খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি গুচ্ছ গ্রামের জনসাধারণের চলাচলের রাস্তাটি থানার সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে ঘীরে সৃষ্ট জটিলতা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সুষ্ঠ সমাধান এবং দীর্ঘদিনের জটিলতা নিরসন হয়েছে বলে জানা গেছে। জনস্বার্থে ঈদগাহ মাঠ ও রাস্তার জায়গা ছেড়ে দেয়ায় পুলিশের ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।

৩১আগস্ট সোমবার সহকারি পুলিশ সুপার মানিকছড়ি সার্কেল মো: সাইফুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি সহকারি পুলিশ সুপার(ডিএসবি) শাহনেওয়াজ, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী, থানার অফিসার্স ইনচার্জ হুমায়ূন কবিরসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সরজেমিনে পািরদর্শন করে সহকারি পুলিশ সুপার মানিকছড়ি সার্কেল মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, থানার নিরাপত্তা মানে জনগনের নিরাপত্তা, জনগণের নিরাপত্তা মানেই সকলের নিরাপত্তা। নিয়মের বাহিরে কোনো কিছুই পুলিশের পক্ষ থেকে করা হবে না। উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী সকলের পক্ষ হতে বিস্তারিত অভিমত তুলে ধরলে এতে সবাই একমত পোষন করেন। ফলে সামান্য এঙ্গেল হয়ে পূর্বের রাস্তা, ঈদগাহ মাঠ, মসজিদ ও কবরস্থান থানার সীমানা প্রচীরের বাহিরে থাকবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

লক্ষ্মীছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ হুমায়ূন কবির বলেন, আমরা বরাবরই জনগনের পক্ষে, আর আমাদের নিয়েই জনগন। এখানে বিরোধের কোনো সুযোগ নেই। সবাই মিলেই একটা সমাধানের পথ খুঁজে বের করেছি। আশা করি এর পর আর কোনো জটিলতা থাকার কথা নয়। সাবেক ইউপি সদস্য মাজেদ গাজি বলেন, এখানে গুচ্ছ গ্রাম ছাড়াও বিজয় কার্বারী পাড়া এলাকার উপজাতীয় জনগণ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। আমাদের চলাচলের রাস্তা, ঈদগাহ, মসজিদসহ কবরস্থানের জায়গা ফিরে পাওয়ায় পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিশেষ করে পুলিশের সার্কেল এবং থানার ওসি’র প্রশংসনীয় ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান। সেই সাথে তিনি জোন কমান্ডার এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সবার্ত্বক সহযোগিতা করায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য ৪তলা থানা কমপ্লে´ ভবন নির্মাণের পর থানা বাউন্ডারি নির্মাণ করার জন্য বরাদ্দ দেয় সরকার। কার্যাদেশ, ড্রয়িং ডিজাইন মতে ঠিকাদার ২০১৩-২০১৪সালের দিকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করে। পরবর্তিতে নতুন করে আরো একটি আলাদা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার জন্য উদ্যোগ নেয় লক্ষ্মীছড়ি থানা। দীর্ঘ দিনের পূরনো চলাচলের রাস্তা বাউন্ডারির মধ্যে রেখেই ওয়াল নির্মাণ করতে চাইলে স্থানীয়রা বাঁধা দেয়। চলতি বছর ৬এপ্রিল প্রতিবাদ করার জন্য নারী-পুরুষ জরো হয় থানা এলাকায়। করোনা ভয়াভহ পরিস্থিতিতে শত শত মানুষের উপস্থিতির খবর পেয়ে ছুটে আসেন লক্ষ্মীছড়ি জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর রাব্বী, উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী ও তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ ইকবালসহ আরো অনেকেই। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে স্বাভাবিক অবস্থা তৈরী হলে সব পক্ষ বসে আশু সমাধান করা হবে মর্মে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়।

এরপর গত ২৭আগস্ট ঠিকাদার কাজ শুরু করলে আবারো বাঁধা দেয় স্থানীয়রা। বিষয়টি উর্ধ্বতন মহল পর্যন্ত গড়ায়। এলাকাবাসীর পক্ষ হতে লক্ষ্মীছড়ি জোন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অনুলিপি দিয়ে প্রায় ৪’শ জনের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের বরাবরে দেয়া হয়। লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি এবং সুষ্ঠুভাবে সমাধান হওয়ায় এর সাথে জড়িত সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post