লাশ নিয়ে হাসপাতালে হাজির নিহত ইউপিডিএফ কর্মীর স্ত্রী

মো: আল আমিন, দীঘিনালা: খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুইপক্ষের গোলাগুলিতে নিহত হয় পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকর্মী (ইউপডিএফ, প্রসিত) ত্রিদিব (শিমুল) চাকমা (৪২)।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ খোঁজে না পেয়ে সন্ধ্যার পর ফেরত আসে। এর পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাশ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাজির হন নিহতের স্ত্রী মিটেনা চাকমা (২৭)। মিটেনা চাকমা জানান, সন্ধ্যার দিকে অজ্ঞাত একটি নাম্বার থেকে তাঁকে ফোন দিয়ে স্বামীর লাশ নিয়ে যেতে বলা হয়। এর পর তিনি গিয়ে স্বামীর লাশ নিয়ে হাসপাতালে আসেন। মিটেনার দাবী, আগে থেকে উঁৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁর স্বামীকে গুলিকরে হত্যা করেছে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. রাশেদুল আলম জানান, হাসপাতালে পৌছানোর অনেক আগেই শিমুলের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের বুকে, কোমড়ে ও হাতে গুলির চিহ্নরয়েছে।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,ময়না তদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। ঘটনাটি উপজেলার দীঘিনালা ইউনিয়নের দূর্গম পুকুরঘাট এলাকায়। নিহত শিমুল কবাখালি ইউনিয়নের কৃপাপুর গ্রামের দেবেন্দ্র চাকমার ছেলে।
এদিকে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ,প্রসিত) এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত একপ্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান চন্দ্র রঞ্জন চাকমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীও পুলিশ গিয়েছিল। কিন্তু লাশ কেন পাওয়া যায়নি তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা। তবে, ঘটনার পর পর ঘটনাস্থল থেকে লাশ সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলেও জানান চেয়ারম্যান।