• December 5, 2024

খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা: বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

 খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা: বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবিতে ৪ ডিসেম্বর বুধবার সকালে ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরামের আয়োজনে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনের পর একটি স্মারকলিপি প্রধান উপদেষ্টার বরাবর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।

গত ২৭ নভেম্বর ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনায় অভিযুক্ত গোপীনাথ ত্রিপুরাকে ইতোমধ্যেই পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে, দ্রুত বিচার কার্যক্রম শুরু করে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

মানববন্ধনে কামিনী পাড়া যুব কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও টিএসএফের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দহেন বিকাশ ত্রিপুরা এর সঞ্চালনায় ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নয়ন ত্রিপুরার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক শেফালিকা ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অংপ্রু মারমা, পেরাছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিম্বীসার খীসা, উইমেন রিসোর্স নেটওয়ার্ক জেলা সমন্বয়কারী নমিতা চাকমা, কাবিদাং এর নির্বাহী পরিচালক লালসা চাকমা, টিআইবি-খাগড়াছড়ির কো-অর্ডিনেটর মোঃ আব্দুর রহমান, উইমেন এক্টিভিস্ট ফোরামের প্রতিনিধি পিংকি বড়ুয়া, সাংবাদিক প্রতিনিধি চিংমেপ্রু মারমা, বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধি নক্ষত্র ত্রিপুরা, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস্ কাউন্সিলের প্রতিনিধি উক্যনু মারমা। তারা এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এ ধরনের জঘন্য অপরাধ সমাজে নারীদের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। অপরাধীর কঠোর শাস্তি নিশ্চিত না করলে ভবিষ্যতে এমন অপরাধের পুনরাবৃত্তি হবে।”

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এতে উল্লেখিত দাবিসমূহ হলো:
১. অভিযুক্ত গোপীনাথ ত্রিপুরার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দ্রুত নিশ্চিত করা।
২. ভুক্তভোগীর উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা।
৩. ভুক্তভোগী পরিবারের নিরাপত্তা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া।
৪. ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকারদের জন্য হাসপাতালগুলোতে বিশেষায়িত সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা।
৫. ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর শিক্ষার সম্পূর্ণ ব্যয় সরকারিভাবে বহন।

বক্তারা আরও বলেন, “এই ঘটনা শুধু একটি নির্দিষ্ট পরিবারকে নয়, পুরো সমাজকে প্রভাবিত করছে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে যেন এমন অপরাধের শিকার কেউ না হয়।”

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক, মানবাধিকার এবং নারী কল্যাণ সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তারা যৌথভাবে এ ঘটনায় বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।

এই ঘটনায় পুরো খাগড়াছড়ি জুড়ে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে, এমন প্রত্যাশা করছেন জেলার সাধারণ মানুষ।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post

Leave a Reply