সংবাদ প্রকাশের পর দূর্লভ প্রজাতির “লজ্জাবতী বানর” এর ঠাই হলো আলুটিলা সংরক্ষিত বনাঞ্চলে
রামগড় প্রতিনিধি: “বনেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃকোলে” এ কথাটি চিরন্তন সত্য বলে প্রমান হলো আজ রামগড় থেকে উদ্ধার হওয়া বিরল প্রজাতির দুটি লজ্জাবতী বানর অবমুক্ত করে। এদিকে পাহাড়ের আলোসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও অনলাইনে গুরুত্বসহকারে সংবাদটি প্রকাশ পাওয়া বিরল বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী দুটি বানর অবশেষে খাগড়াছড়ি আলুটিলা সংরক্ষিত বনাঞ্চলে তার নিজ আবাস্থলে ঠাই পেলো।
রামগড় রেঞ্জ কর্মকর্তা এহিয়া হোসেন জানান, স্থানীয় সাংবাদিক রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরা তাদের মিশ্র ফল বাগান থেকে বিরল প্রজাতির দুটি বানর সংরক্ষণের কথা পত্র-পত্রিকাসহ অনলাইনে এবং ফোনে আমার সাথে যোগাযোগ হয়। পরবর্তিতে আমার খাগড়াছড়ি জেলা ডিপু স্যারকে বিষয়টি অবগত করি এবং স্যারের আগ্রহ মূলে দুটি লজ্জাবতী বানর নিজের কাছে প্রথমে সংরক্ষণ করে জেলায় ডিপু স্যারের নিকট হস্তান্তর করি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাহাড়ের আশে পাশে কৃষি কাজের জন্য পাহাড়-টিলার বনজঙ্গল বড় কাছপালা কেটে পরিষ্কার করায় পরবর্তীত্বে পশুপাখিদের আবাসস্থল হারিয়ে যাওয়ার ফলে লজ্জাবতী বানরটি লোকালয়ে চলে আসে।
খাগড়াছড়ি বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ মানোয়ার আলম এ প্রতিনিধকে বলেন রামগড় থেকে বিপন্ন প্রজাতির দুটি লজ্জাবতী বানর রামগড় রেঞ্জ কর্মকর্তা এহিয়া হোসেনের মাধ্যমে স্থানীয় সাংবাদিক রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরার আমাদের কাছে উক্ত লজ্জাবতী বানরটি হস্তান্তর করতে আগ্রহ প্রকাশ করলে খাগড়াছড়ি আলুটিলা সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বানরটি অবমুক্ত করি।
এসময় অবমুক্ত কালে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি বনবিভাগের সহকারী বনকর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন, খাগড়াছড়ি সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা বাবু রাম চাকমা, অফিস স্টাফসহ প্রমুখ।