• February 22, 2025

সাফজয়ী নারী ফুটবলার লক্ষ্মীছড়ির মেয়ে মনিকা চাকমা পেলো একুশে পদক

 সাফজয়ী নারী ফুটবলার লক্ষ্মীছড়ির মেয়ে মনিকা চাকমা পেলো একুশে পদক

পাহাড়ের আলো ডেস্ক: নারী ফুটবলে অবিস্মরণীয় অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের ২৩ জন খেলোয়াড়ের হাতে একুশে পদক তুলে দেওয়া হয়েছে। এটি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার, যা এবার প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে কোনো ক্রীড়া দল পেল।

২০ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাফজয়ী নারী দলের ২৩ জন ফুটবলারের হাতে একুশে পদক তুলে দেন। দলের পক্ষে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্দা পদক গ্রহণ করেন। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দলের অন্যান্য খেলোয়াড়রা, যাদের মধ্যে অন্যতম খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষীছড়ি উপজেলার গর্ব ম্যাজিক্যাল মনিকা চাকমা।

এর আগে কোনো ক্রীড়া দল একুশে পদক পায়নি। তবে প্রথমবারের মতো নারী ফুটবল দল একুশে পদকের সম্মান অর্জন করল, যা বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসে এক অনন্য অর্জন। ২০০১ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) স্বাধীনতা পদক পেলেও স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল বহুবার আবেদন করেও স্বাধীনতা পদকের স্বীকৃতি পায়নি।

২০২৪ সালের সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশ টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়। সেই দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ছিলেন ম্যাজিকাল মনিকা চাকমা। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষীছড়ি উপজেলার মেয়ে, যিনি নিজের প্রতিভা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে জাতীয় দলে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অর্জন করেছেন। তার দক্ষতা ও সৃজনশীল খেলা বাংলাদেশ নারী দলকে শিরোপা এনে দিতে সহায়তা করেছে।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে নারী ফুটবল দলের ২৩ জন খেলোয়াড় একুশে পদক গ্রহণ করেন। তারা দেশের ফুটবলে এক নতুন ইতিহাস তৈরি করেছেন, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

এই স্বীকৃতি নারী ফুটবলের জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণা। মনিকা চাকমার মতো খেলোয়াড়রা যদি সুযোগ ও প্রশিক্ষণ পান, তবে ভবিষ্যতে তারা আরও বড় মঞ্চে দেশের সম্মান বয়ে আনতে পারবেন। সাফজয়ী এই দল শুধু ফুটবলের নয়, পুরো বাংলাদেশের গর্ব!

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post

Leave a Reply