সেই পাহাড় কাটার সংবাদ প্রকাশের পর এ্যাকশান…..
স্টাফ রিপোর্টার: প্রশাসনের নিরবতায় মাটিরাঙ্গায় প্রতিনিয়ত চলছে পাহাড় কাটা। বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে এ্যাকশানে নামে প্রশাসন। উপজেলা প্র্রশাসন, পুলিশ ও বিজিবি যৌথ অভিযানে মাঠে নামে পাহাড় খেকোদের রুখতে।
অভিযান শুরু যেভাবে: বৃহস্পতিবার বিকালে মাটিরাঙ্গা উপজেলার বর্ণাল ইউনিয়নের বদু মেম্বারপাড়া এলাকায় প্রকাশ্য দিবালকে পাহাড় কাটছে স্থানীয়দের এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতেনাতে একটি পেলুডার (মাটি কাটার গাড়ি) আটক করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড ফারজানা আক্তার ববি। পাহাড় কাটার অপরাধে ভূমির মালিক মোঃ ইয়াছিনকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০/ ১৫ এর ১ধারা অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত আটককৃত পেলুডারটি জব্দ করে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের হস্তান্তর করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মাটিকাটার নেপত্থের নায়ক যারা: আটককৃত পেলুডার মেশিনটির মালিক রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাসিন্দা মোঃ কামাল হোসেন। পেশায় তিনি একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। নিজ জেলায় শিক্ষার আলো ছড়ালেও পাশ্ববর্তী জেলায় প্রতিনিয়ত পাহাড় কেটে পরিবেশের ১২টা বাজাচ্ছেন তিনি। তিনি নাকি আবার বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি পরিবারের সন্তান। তার পরিবারের মধ্যে অন্তত ৬জন পুলিশ অফিসার রয়েছে, এমন সস্তা গল্প প্রচার করে বিভিন্ন মহলের সহযোগীতায় অবৈধ ভাবে তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন পাহাড় কর্তন। তার অপর সহযোগী আপন ছোট ভাই মোঃ রাকিব। তিনি আবার চাপাবাজিতে বড় ভাইয়ের থেকে কয়েকগুন এগিয়ে। যে কিনা সব জায়গায় বলে বেড়ান থানার ওসি তার ইউনিভার্সিটির বড় ভাই। এসিল্যান্ড আপা আর সে একই ভার্সিটির ছাত্র। আর এসব চাপাবাজির জোরে দুই ভাই মিলে ৩টা পেলুডার মিশিনের মাধ্যমে মাটিরাঙ্গা উপজেলার প্রত্যান্ত গ্রামে গ্রামে পাহাড় কেটে সব সাবাড় করে দিচ্ছেন। যাদের থামানোটা এখন অসম্ভবের পর্যায়ে পৌচেছে।
এলাকাবাসীর দাবি: মাটিরাঙ্গা উপজেলায় বর্তমানে কামাল হোসেন ও রকিব দুই ভাইয়ের অধিনে চলা ৩টি পেলুডার সহ সংঘ্যবদ্ধ এ চক্রটির মাধ্যমে অন্তত ১০টি মাটি কাটার মেশিন চলছে। বাকী মেশিনগুলো কখন আটক করা হবে তা এখন দেখার বিষয়। স্থানীয়রা মনে করে এখন থেকে পাহাড় খেকোদের না রুখলে এই সবুজ পাহাড় পরনিত হবে খেলার মাঠে।
অভিযান চলবে: মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার ববি জানান, পাহাড় কাটা রোধে এ অভিযান অব্যহত থাকবে, এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।