মো: আল আমিন, দীঘিনালা: রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিয়মিত আগমনে সবসময়ই মুখর থাকে মেঘ-পাহাড়ে ঘেরা এই জনপদ। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একটি আঞ্চলিক সশস্ত্র গোষ্ঠী মাঝেমধ্যেই গুজব ছড়িয়ে ও আন্দোলনের নামে সাজেকগামী একমাত্র সড়ক অবরোধ করে সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের ভোগান্তিতে ফেলে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে সাজেক অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই দিন ভোর থেকেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ ফেলে ও প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করে সাজেকগামী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে সাজেকে অবস্থানরত পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটান।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাঘাইহাট জোনের জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মনিরুল ইসলাম, পিপিএম (বার), পিএসসি-এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সদস্যরা রাতভর অভিযান চালিয়ে সড়কে ফেলে রাখা গাছ ও প্রতিবন্ধক অপসারণ করেন। তবে দুষ্কৃতকারীরা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বারবার প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়।
পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে স্কটের মাধ্যমে সাজেকে আটকে পড়া এবং খাগড়াছড়ি থেকে আগত পর্যটকদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় পর্যটন কার্যক্রমে বড় ধরনের কোনো বিঘ্ন ঘটেনি এবং যান চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।
এদিকে মাসালং ১৪ কিলো এলাকায় বনবিভাগ কর্তৃক উচ্ছেদকৃত মালামাল নিয়ে সৃষ্ট সমস্যারও সমাধান হয়েছে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায়। উভয় পক্ষের বৈঠকের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়। এ ছাড়া দুষ্কৃতকারীদের সড়ক অবরোধের সময় গাছ কাটার ফলে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে সাজেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোনের সহায়তায় বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলীর মাধ্যমে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়।