স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তীতেই দৃশ্যমান হচ্ছে পার্বত্য প্রেসক্লাবের গৃহ নির্মাণ প্রকল্প
পাহাড়ের আলো: পার্বত্য প্রেসক্লাব খাগড়াছড়িতে কর্মরত মুক্তমনা সাংবাদিকদের অন্যতম সংগঠন। সংগঠনের অন্যতম উদ্দেশ্য আত্মমানবতার কল্যান। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তীতে অসহায় শত গৃহহীনের ঘর নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে পুরোদমে।
পার্বত্য প্রেসক্লাবের এ গৃহনির্মাণ প্রকল্পের কাজ এখন দৃশ্যমান। একশটি গৃহের মধ্যে ২০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৫০তম স্বাধীনতা দিবসে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকালে পার্বত্য প্রেসক্লাবের সভাপতি দেব প্রসাদ ত্রিপুরা ও সম্পাদক জুলহাস উদ্দিনের নেতৃত্বে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল করিমকে সাথে নিয়ে শালবন এলাকার মুক্তিযোদ্ধা পল্লীতে নির্মিত আব্দুল মজিদের বসতগৃহ পরিদর্শন করা হয়।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কাশেম বলেন, পার্বত্য প্রেসক্লাব সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে যে সাহসী উদ্যোগ নিয়েছেন এটা শুধু সমাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে না অনুস্মরনীয়ও বটে। সমাজের অন্যান্য স্তরের বিত্তবানরা এগুলো দেখে এগিয়ে আসবেন এমনটা প্রত্যাশা করা যায়।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল করিম উল্লেখ করেন, পার্বত্য প্রেসক্লাবের এ ধরনের জনহিতকর উদ্যোগ নতুন নয়, বিগত বছরেও অনেকের বসতঘর নির্মাণসহ বিভিন্ন স্তরের অসহায়দের সহযোগীতা করেছেন। আমি তাদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আশাকরব ভবিষ্যতে এ উদ্যোগ আরো সম্প্রসারিত হবে।
আব্দুল মজিদ অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেন, ‘‘আমি পুরো বর্ষার পানিতে ভিজছি, অনেক জায়গায় গিয়েছি, কোন সহযোগীতা পাইনি। পার্বত্য প্রেসক্লাব ও দৈনেক সবুজ পাতার দেশ পত্রিকার সাংবাদিকরা আমাকে বসতঘর করে দিয়েছেন। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া জানাই তাদের জন্য।’’
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য প্রেসক্লাবের সদস্য এস চাকমা সত্যজিৎ, কামরুল ইসলাম, আমীর হামজা কুতুবী, আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কাশেম, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শরিফ ভূইয়া, যুবলীগ নেতা মো: ফরিদ, সমাজ সেবক নুর আলম প্রমুখ।