স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত মানিকছড়িতে
মানিকছড়ি(খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধি: শহীদ বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, সালাম গ্রহন, ডিসপ্লে প্রদর্শন, মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ,পুরস্কার বিতরণ ও ১০২টি ফানুস উড়ানো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনে মানিকছড়িতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে।
২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উপজেলার সরকারী-বেসরকারী সকল ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলা প্রশাসন,পুলিশ, বাংলাদেশ গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, মুক্তিযোদ্ধা , আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠন, জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন সারিবদ্ধভাবে শহীদ বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) রক্তিম চৌধুরী,থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও.সি) মোহাম্মদ শাহনূর আলম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সফিউল আলম চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য এম.এ. জব্বার, আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈন উদ্দীনসহ সরকারী সকল দপ্তর প্রধান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্ত ও উৎসবমূখর পরিবেশে পুস্পস্তবক অর্পনে অংশগ্রহন করেন।
পরে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, সালাম গ্রহন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)রক্তিম চৌধুরী ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ও.সি) মোহাম্মদ শাহনূর আলম।
এর পর ডিসপ্লে প্রর্দশন, ক্রীড়ানুষ্ঠান শেষে মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় স্কুল মাঠে অনুষ্টিত হবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সৌজন্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১০২টি ফানুস উড়ানো উৎসব। পরে ৭টায় উপজেলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রতন খীসা। বক্তব্য দেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন, ইউএনও রক্তিম চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম.এ.জব্বার, এম.এ.রাজ্জাক, উপজেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈন উদ্দীন, উপজেলা দুপ্রক সভাপতি মো. আতিউল ইসলাম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সফিউল আলম চৌধুরী প্রমূখ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সফিউল আলম চৌধুরী বলেন, আজকের এই সন্মান, সন্মানী, সরকারী সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা করে কেউ যুদ্ধে যায়নি, যুদ্ধ করেনি। উপজেলার দুইটি বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে একটি ফলক স্থাপনে প্রশাসন উদ্যোগে নিলে আমরা কৃতজ্ঞ থাকবো।
ইউএনও রক্তিম চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, আপনাদের(মুক্তিযোদ্ধা) নিঃশর্ত ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ বিশ্বে গর্বিত জাতি। প্রশাসন আপনাদের কল্যাণে কাজ করছে। আমরা অচিরেই উপজেলায় একটি মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক নির্মাণ করব।
উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, আমরা আজ সন্মানিত ও গর্বিত একমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কারণে। সুতরাং তাঁদের সন্মান রক্ষায় প্রশাসন ও আ’লীগ সব কিছু করতে বদ্ধপরিকর।