৩ গ্রামবাসীকে অপহরণের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বিক্ষোভ
ডেস্ক রিপোর্ট: মহালছড়ি মাইসছড়ি বাজার থেকে সংস্কারপন্থী সন্ত্রাসীদের কর্তৃক ৩ গ্রামবাসীকে অপহরণের প্রতিবাদে এবং উদ্ধারে দাবিতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম খাগড়াছড়ি জেলা শাখা। আজ বুধবার ১৫ আগস্ট ২০১৮ বেলা ৩টায় মিছিলটি খাগড়াছড়ি জেলা সদর স্বনির্ভর বাজার ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর কার্যালয়ের সামনে থেকে বের করে নারাঙহিয় রেড স্কোয়ার হয়ে উপজেলা পরিষদ কার্যলয় প্রদক্ষিণ করে আবার একই স্থানে এসে এক প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যেমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রতন স্মৃতি চাকমা, সংগঠনিক সম্পাদক রুপেশ চাকমা ও পিসিপি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা প্রমূখ। গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম খাগড়াছড়ি জেলা শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক রুপেশ চাকমা স্বাক্ষরিত এক প্রেসবার্তায় এ খবর জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, আজ মাইসছড়ি বাজারে হাটবার হওয়ায় গঙ্গামাছড়া গ্রামের বাসিন্দা রুপায়ন চাকমা (৪০), ইন্দু কুমার চাকমা(৩৫) ও কমল চাকমা (৩০) মালামাল কেনা-বেচা করতে বাজারে গেলে সেখান থেকে সকাল সাড়ে ১০টার সময় কলেন চাকমার নেতৃত্বে ৪/৫জন সংস্কারবাদী সন্ত্রাসী তাদেরকে অপহরণ করে দাঁতকুপ্যার দিকে নিয়ে যায়।
বক্তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সেনা-প্রশাসনের মদদে সংস্কার-নব্য মুখোশ সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে। সেনাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী জনগণের পার্টি ইউপিডিএফ নেতা-কর্মী সমর্থকদের খুন করছে এবং বর্তমানে তারা জনসাধারণের উপর অপহরণ-নির্যাতন-খুন-গুম-হত্যা ও মোটা অঙ্কে চাঁদা আদায় করছে। এই পর্যন্ত তাদের কর্র্তৃক ৭৫ জনকে অপহরণের শিকার হয়েছে। এসব ঘটনায় প্রশাসনের নিরব ভূমিকা পালন করে চলেছে এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগীতা করছে। গত ১৩ আগস্ট খাগড়াছড়ি মহাজন পাড়া থেকে ৪ গ্রামবাসীকে অপহরণ করে নিলে জনগণের তীব্র প্রতিবাদের মূখে অপহৃতদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী নির্যাতনের মাত্রারিক্ত বেড়েছে গত ২৮ জুলাই ৯ মাইলে ৫ম শ্রেণী ছাত্রী কৃত্তিকা ত্রিপুরাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা যেতে না যেতে আজ দুপুর ১২টায় জেলা গুইমারা উপজেলা সদর রামেসুর বাজারে সেটলার কর্তৃক এক মারমা নারীকে ধর্ষণের প্রচেষ্টা চালিয়েছিল।
সমাবেশ থেকে বক্তারা, মাইসছড়ি থেকে অপহৃত ৩ গ্রামবাসীকে উদ্ধার ও মহাজন পাড়া থেকে ৪ গ্রামবাসীকে অপহরণের ঘটনার সাথে জড়িত সংস্কার-নব্য মুখোশ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানসহ অবিলম্বে গুইমারা রামেসুর বাজারে এক মারমা নারীকে ধর্ষণের প্রচেষ্টা ঘটনার সাথে জড়িত সেটলারকে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান।