লামায় পাথর চাপায় রোহিঙ্গা শ্রমিক নিহত, আটক ৪
লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি: বান্দরবানের লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নে অবৈধ পাথর উত্তোলকালে পাথর চাপা পড়ে এক রোহিঙ্গা শ্রমিক নিহত হয়েছে। সোমবার (২৩ এপ্রিল) বিকালে ডলুঝিরিতে পাথর উত্তোলনের সময় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. আজম (১৯) পিতা- মো. জাকারিয়া, সাং- কক্সবাজারের উখিয়ার মধুছড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাড়ি মিয়ানমারের বুচিডং এলাকার আইক্যবে। সূত্রে জানান, সোমবার বিকালে ডলুঝিরিতে মো. আজম পাথর চাপা পড়লে অন্য শ্রমিকরা তাকে উদ্ধার করে চকরিয়ার ইউনিক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পাথর কোয়ারী মালিকসহ তিন রোহিঙ্গা শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ। আকটকৃতরা হল ১। পাথর কোয়ারী মালিক মো. বাবুল (৪৫), পিতা- জাকের হোসেন, সাং- ফাইতং নয়া পাড়া, ২। জাহেদুল ইসলাম (২২), পিতা- আব্দুল হামিদ, ৩। মো. নুরু (১৮), পিতা- অজি উল্লাহ, ৪। মোহাম্মদ আলী (৩৫), পিতা-হাফেজুর রহমান, সর্বসাং- কক্সবাজারের উখিয়ার মধুছড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা। তাদের বাড়ি মায়ানমার বুচিডং এলাকার আইক্যবে বলে জানিয়েছেন ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ি আইসি মো. হানিফ।
জানা গেছে, গজালিয়ার ডলুঝিরির পাথর কোয়ারীতে সোমবার বিকেলে বারুদ দিয়ে পাথর ব্লাস্ট করার সময় গুরুতর আহত হয় মো. আজম। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ইউনিক হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হলে পাথর কোয়ারীর মালিক ও দালাল হোসেন মাঝি লাশটি গোপন করতে মধুছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে না নিয়ে রাত ১০টার দিকে পুণরায় ফাইতং-লামা রোড দিয়ে দূর্গম ডলুঝিরিতে নিয়ে যাচ্ছিল। পথে ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. হানিফের সন্দেহ হলে তিনি লাশের বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। তখন থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসে।
এ ব্যাপারে লামা থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তর জন্য বান্দরবান হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আটককৃতদের আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।