মাটিরাঙ্গায় বাল্য বিয়ে বন্ধ করলেন ইউএনও
স্টাফ রিপোটার : মাটিরাঙ্গা উপজেলার গোমতী ইউনিয়নের বাহার মিয়ার ছেলে আব্দুল জব্বারের সাথে বিয়ে ঠিক হয় মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের আমির হোসেনের মেয়ে শারমিন আক্তারের। দুই পক্ষের পুর্ব কথা অনুযায়ী শুক্রবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল মাটিরাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী শারমিন আক্তারের। সকল আয়োজনও শেষ করে কনের পিতা আব্দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার বিকালে কনের বাবার বাড়ি জুড়ে বিয়ের উৎসব। চলছে গায়ে হলুদের প্রস্তুতি। কিছুক্ষণ পরেই কনের গায়ে হলুদ। এমন সময়ই স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: আলাউদ্দিন লিটন এবং মাটিরাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: কামাল হোসেনকে সাথে নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হাজির হলেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ। এবং বাল্য বিবাহের সকল অানুষ্ঠানিকতা বন্ধ করে দেন।
এসময় কনে শারমিন আক্তারের বাবা-মাকে বাল্য বিবাহের কুফল ও বাল্য বিবাহ সংঘটিত করলে আইনে এর শাস্তি সম্পর্কে বুঝান। তাঁরা ভুল বুঝতে পেরে বিয়ে না দেয়ার সিদ্দান্ত দেন এবং ১৮ বছরের পূর্বে মেয়ের বিয়ে দিবেন না মর্মে মুচলেকা প্রদান করেন। এসময় ছাত্রীটি জানায় সে পড়াশোনা করতে চায়।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের জন্য মাটিরাঙ্গা পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোথাও বাল্যবিবাহ সংঘটিত হচ্ছে খবর পেলেই তা প্রতিরোধের জন্য এ কমিটির সদস্যরা কাজ করেন।