রাঙ্গুনিয়ায় গরম কাপড় দোকানগুলো পুরোদমে জমে উঠেছে
রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: রাঙ্গুনিয়ায় গরম কাপড়ের দোকানগুলো পুরোদমে জমে উঠেছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েকদিনে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় শীত জেঁকে বসেছে। স্থানীয় হাটবাজারের ফুটপাত গরম কাপড় দোকানগুলোতে নিন্ম আয়ের মানুষের ভীড় বেড়ে গেছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর বেচাবিক্রি বেড়েছে বলে দোকানদাররা জানিয়েছেন।
উপজেলার চন্দ্রঘোনা দোভাষীবাজার, রোয়াজারহাট, ধামাইরহাট, রানীরহাট, পোমরা শান্তিরহাট, পদুয়া রাজারহাট, কোদালা বাজার, সরফভাটা ক্ষেত্রবাজার সহ বিভিন্ন মাকের্টে গরম কাপড় বেচা-কেনার ধুম পড়েছে। সাগরে নিন্মচাপের কারনে রাঙ্গুনিয়ায় হাল্কা বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টি কমার পর হিমেল হাওয়া অনুভুত হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর মতে, চলতি মাসের শেষের দিকে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে আভাস দেয়া হয়। শতশত গ্রামের মানুষ শীতে কষ্ট পাচ্ছে। বিশেষ করে দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় শীত বেশী অনুভুত হচ্ছে। গ্রামের মানুষ খড়কুটো দিয়ে আগুন জ¦ালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইসলামপুর ইউনিয়নের সবজি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, পাহাড়ি এলাকায় শীত জেঁকে বসেছে। সারাদিন গায়ে কম্বল গায়ে দিয়ে দৈনন্দিন কাজ সারতে হচ্ছে। ঘরে ঘরে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রচন্ড শীতে সাধারন মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ সব বয়সের মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছে। চন্দ্রঘোনা দোভাষীবাজার জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এসএম কাউসার বলেন, শীতে শিশু-বৃদ্ধরা বেশী আক্রান্ত হচ্ছে। কাঁশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, আমাশয় সহ ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেশী। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা একাধিক চালক জানান, ঘন কুয়াশার কারনে ভোর সকাল ও সন্ধ্যার পর কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়ক, চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়ক, চন্দ্রঘোনা-বাংগালহালিয়া সড়কে যানবাহন চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্বাভাবিক জীবন যাত্রা দূর্বিসহ নেমে এসেছে। ঘন কুয়াশায় কারনে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
চন্দ্রঘোনা দোভাষীবাজার ফুটপাত কাপড় ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের চেয়ে এবছর শীতের তীব্রতা বেশী। শীতবস্ত্রের কেনাবেচা পুরোদমে জমে উঠেছে। গরীব, অসহায়, দিনমজুর ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ ফুটপাত দোকানগুলোতে থেকে গরম কাপড় ক্রয় করছে। মার্কেট ও বিপনি বিতানগুলোতে গরম কাপড় বেচাকেনা বেড়েছে। ধামাইরহাটের কাপড় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ করিম বলেন, হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার কারনে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এবছর গরম কাপড় বিক্রি বেড়েছে।