মানিকছড়ি ইংলিশ স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণ
মানিকছড়ি প্রতিনিধি: মানিকছড়ির অহংকার‘মানিকছড়ি ইংলিশ স্কুল’ প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জাঁকজমক ও মনোমুগ্ধকর আয়োজনে ১১তম বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন করেছে।
উপজেলার প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ির সড়কের পাশ্বে আর্মি ক্যাম্প সংলগ্ন মানিকছড়ি খালের কূল ঘেঁষে ২০০৮ সালে উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যাপীঠ আজ ১১ বছরের পদাপর্ণ করেছে। এখানে কেজি ওয়ান থেকে কেজি ফাইভ পর্যন্ত ইংলিশ ভার্সন এবং ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম পর্যন্ত বাংলা ভার্সনে পড়ালেখা চলছে। গুইমারা রিজিয়নের সিন্দুকছড়ি জোন এবং উপজেলা প্রশাসনের যৌথ পরিচালনার পরিচালিত এ প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ১শত ৮০জন ছেলে-মেয়ে পড়ালেখা করছে। প্রতি বছর এ সময়ে অনুষ্ঠিত হয় বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণ উৎসব।
২৩ মার্চ বিকাল ৩টায় উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নোমান মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সিন্দুকছড়ি জোন অধিনায়ক লে.কর্ণেল রুবায়েত মাহমুদ হাসিব,পিএসসি,জি। অতিথি হিসেবে ছিলেন,উপজেলা চেয়ারম্যান উপদেষ্ঠা ¤্রাগ্য মারমা,ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান মো.শফিকুর রহমান ফারুক, সজল বরণ সেন, এম.কে.আজাদ, জোন উপ-অধিনায়ক মেজর মো.সালাহ উদ্দীন প্রমূখ।
শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ প্রদর্শণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে বার্ষিক ক্রীড়ার কিছু অংশ প্রদর্শণের পর অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে শিক্ষার্থীরা মনোমুগ্ধ নৃত্য পরিবেশন করেন। পরে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে পড়ালেখা ও জ্ঞান অর্জণের বিকল্প নেই। এ অঞ্চলের অসহায় মানুষ এখনো জ্ঞান অর্জনের দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তাই উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী চেষ্ঠা করছে নিজস্ব কর্মকান্ডের পাশাপাশি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কিছু করার। এ প্রতিষ্ঠান সে কাজের একটি অংশ মাত্র। এ বিদ্যাপীঠের অনেক সমস্যা রয়েছে,যেমন আবাসন সংকট, খালের ভাঙ্গনে মাঠের একাংশ বিলিনের আশংকা, খালের ওপর ব্রীজ নির্মাণ,শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের বেতনভাতা বৃদ্ধিসহ যাবতীয় সমস্যা সমাধানে প্রশাসন কাজ করছে এবং এ ধারা অব্যাহত থাকবে। পরে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা বার্ষিক ক্রীড়ায় বিজয়ী ও বিজিত শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।