লামা-আলীকদম-চকরিয়া পরিবহন ধর্মঘট, জনদুর্ভোগ চরমে
প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, লামা (বান্দরবান): কোনপ্রেকার পূর্বঘোষনা ছাড়াই লামা-আলীকদম-চকরিয়া সড়কে পরিবহন ধর্মঘটের কারনে জন দুর্ভোগ চরমাকার ধরান করেছে। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে লামা-আলীকদম ও বমুবিলছড়ি এলাকার কয়েক হাজার ঘরমুখো মানুষ এই অতর্কিত পরিবহন ধর্মঘটের কবলে পড়ে বেকায়দায় পড়েছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত অনেকে স্বপরিবারে নববর্ষের ছুটি কাটাতে স্ত্রীপুত্রকন্যা নিয়ে সারারাত ঢাকাসহ নানা স্থান থেকে চকরিয়া এসে অটকা পড়েছেন। যারফলে তাদের নববর্ষের আনন্দ উপভোগের উৎসাহ মাটি হয়ে গেছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন। ধর্মঘটের কারনে অনেকে লামা, আলীকদম ও বমুবিলছড়ি ঢুকতে না পেরে স্বপরিবারে নিজ নিজ কর্মস্থরে ফেরত গেছেন।
পূর্বঘোষণা না দিয়ে পরিবহন ধর্মঘটের কারন জানতে চাইলে পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি জামশেদ উদ্দিন বাবুল জানান, আলীকদমের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতিকে না জানিয়ে বিআরটিসির পরিবহন চালু করার পতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে এই ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। আরকান সড়ক পরিবহন মালিক- শ্রমিক সমিতির চকরিযা, লামা ও আলীকদম শাখার নেতৃবৃন্দকে ডিঙ্গিয়ে বিআরটিসির পরিবহন চালু করা সরকারের সাথে সম্পাদিত চুক্তির সম্পুর্ন পরিপন্থি ও বেআইনী বলে পরিবহন মালিক সমিতির এই নেতা দাবী করেন।
জন দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করতেই তিনি জানান, আমরা সমঝোতায় আসতে প্রস্তুত আছি। যারা আমাদের সাথে আলাপ-আলোচনা না করে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে বিআরটিসির গাড়ি চালুর উদ্যোগ নিযেছেন, তাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে কলে তিনি দাবী করেন।
এবিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-এ-জন্নাত রুমী বলেন, পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতির সাথে লামা উপজেলা প্রশাসনের কোন জটিলতা নেই। তাদের অভিযোগ আলীকদমের সাথে। তাই তারা চাইলে চকরিয়া-লামার মধ্যে পরিবহন চালু রাখতে পারেন। বিষযটি তাদের সাথে সকাল খেকেই আমরা বলে আসছি। এবিষয়ে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজিমুল হায়দারের বক্তব্য নেয়ার জন্য বারবার ফোন দিয়েও সাড়া পাওয়া যায় নি।