গুইমারা উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করলেন বাসন্তী চাকমা
শাহ আলম রানা: ঈদ, পুজা ও চৈত্র সংক্রান্তি এখন কোন নির্দিষ্ট ধর্ম জাতি বা গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবন্ধ নেই এসব ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানগুলো সার্বজনীন রুপ নিয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত “ধর্ম যার যার উৎসব সবার” এ মন্ত্রে বাংলাদেশ আজ উজ্জীবিত বলে মন্তব্য করেছেন খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানকে নিয়ে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম আসনের মহিলা সাংসদ বাসন্তী চাকমা।
৬অক্টোবর(রবিবার) বিকেলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজার অষ্টমীতে খাগড়াছড়ি’র গুইমারা উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে এমন্তব্য করেন তিনি। এসময় তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বী সহ পার্বত্যবাসীকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানান।
এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গুইমারা উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমা, গুইমারা উপজেলা চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মারমা, ইউএনও তুষার আহম্মেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ঝর্ণা ত্রিপুরা, গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ বিদ্যুৎ বড়ুয়া প্রমুখ। এর আগে বাসন্তীী চাকমা গুইমারা এসে পৌছলে পূজা উদযাপন কমিটি ও দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। মোমবাতি জ্বালিয়ে ও প্রমাণ করে শক্তির দেবী দূর্গাপ্রতিমার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিভিন্ন মন্ডপে পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতির নিকট ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন বাসন্তী চাকমা।
এদিকে, মহাষষ্ঠীতে বোধনের মধ্যদিয়ে দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু হয়ে তা মঙ্গল বিজয়া দশমীকে বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে। গুইমারা উপজেলার মোট ৪টি মন্ডপে এবছর দূর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রবিবার অষ্টমীকে কুমারীপুজা অনুষ্ঠিত হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিভিন্ন পুজা মন্ডপে মাতৃ আধারণা শেষে প্রসাদ গ্রহণ করে। দূর্গা পুজা উপলক্ষে পুজা মন্ডপের বাহিরে মেলায় প্রচুর দর্শকের সমাগম ঘটে।