• July 7, 2025

দু:চরিত্রা মায়ের কবল থেকে নির্যাতিত শিশু কন্যাটিকে উদ্ধারের দাবী

গুইমারায় চাঞ্চল্যকর ভিডিও ধারণ করে শিশু ধর্ষণের মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহের অভিযোগ

গুইমারা প্রতিনিধি: মায়ের কোলই সন্তানের সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। মা জীবনের বাজী রেখে সন্তানের সুরক্ষা কর এটাই জগতের চিরায়ত নিয়ম। কিন্তু গর্ভধারিণী সে মা যখন বিকৃত যৌন লালসা মেটাতে গর্ভজাত শিশু কন্যাকে হিন্দু প্রেমিককে দিয়ে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিওধারণ করে তখন সে মা নামের জঘন্য মহিলার ব্যাপারে বর্ণনা নিষ্প্রয়োজন। এমন কুলাঙ্গার মায়ের বর্ণনার ভাষা হয়না। সম্প্রতি খাগড়াছড়ি’র গুইমারা উপজেলার ডাক্তারটিলা এলাকায় কল্পনাতীত এমনি চাঞ্চল্যকর নাবালিকা শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনাটি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর সর্বত্র ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। সর্বমহল থেকে দাবী উঠেছে এমন জঘন্যতম অপরাধের দৃষ্ঠান্ত মুলক শাস্তির। কিন্তু মায়ের সহযোগীতায় শিশু ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিওধারনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহেরর মাধ্যমে অপরাধীদের রক্ষার অভিযোগ উঠেছে গুইমারা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

গুইমারা উপজেলা ডাক্তারটিলার বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম প্রবাসে থাকার সুযোগে স্ত্রী সাহেদা আক্তার ময়না,একই গ্রামের বাসিন্দা অন্য ধর্মাবলম্বী ২কন্যা সন্তানের জনক শ্যাম প্রসাদ বনিকের সাথে গড়ে উঠা অবৈধ পরকিয়া এক পর্যায়ে শারীরিক সম্পর্কে পৌছে। সাহেদা আআক্তার ময়না ও শ্যাম প্রসাদ বনিক পশ্চিমা বিশ্বের মত ব্লু ফিল্ম স্টাইলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে শারীরিক অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হতো শ্যাম নিজেই তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে এ অপকর্মের ভিডিওধারন করে রাখত।

মায়ের কুকীর্তি দেখে ফেলায় নিজ গর্ভের নাবালিকা শিশুকন্যাকে প্রেমিক শ্যাম প্রসাদ বনিককে দিয়ে একই কায়দায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে পশ্চিমা স্টাইলে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিওধারন করতে সহযোগীতা করেন আপন মা।

ভিকটিমের প্রবাস ফেরত অসহায় পিতা শিশু কন্যার যৌন নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করলে ও এখনো পর্যন্ত যথাযথ আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। পুলিশসহ একটি কুচক্রী মহল এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা আড়াল করে অপরাধীদের বাচাঁতে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। ভিকটিমের পিতা গত ২৬জুলাই২০২০খ্রি: সংবাদ সম্মেলনের পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঘটনার সসাথে জড়িত ২জনের নাম উল্লেখ পুর্বক লিখিত আবেদনসহ গুইমারা থানায় যায়। এসময় অফিসার ইনচার্জ আবেদনটি গ্রহণ করে বাদীকে পরে আসতে বলে বিদায় করে দেয় । তখন পুলিশের উপস্থিতিতে কুচক্রি মহলসহ পুলিশ বাদীকে বিভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা বলে সম্মানেরহানী করার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ বাদীর।

বাদী পুনরায় থানায় গেলে পুলিশ তার আইনগত দাৃয়িত্বশীল ও সহযোগীতা সূলভ আচরন না করে মামলার বাদীকে দীর্ঘসময় থানায় বসিয়ে রেখে বাদীর লিখিত আবেদনটি হয়নি নতুন আবেদন লিখারর কথা বলে গভীর রাতের অজুহাত দেখিয়ে থানায় কর্মরত উপপুলিশ পরিদর্শক(এসআই)আল আমিন বাদীর নিকট থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। পরবর্তিতে কুচক্রি মহলের ইন্দনে পুলিশ মনগড়া নিজেদের ইচ্ছামত মামলার এজাহার লিখে বাদীর লিখিত অভিযোগে অভিযুক্ত সাহেদা আক্তার ময়নাকে বাদ দিয়ে পুলিশের ইচ্ছামত সাগর চৌধুরী ও রনি পাল নামের অপর দুইজনকে আসামী করে বাদীকে কোন প্রকার অবহিত মামলা রেকর্ড করে আদালতে পাঠিয়ে দেয়। পরে পুলিশের কাছে বার বার মামলার কপি চেয়ে ব্যর্থ হয়ে খাগড়াছড়ি আদালত থেকে কপি সংগ্রহ করার পর বাদীর অভিযুক্ত ২নং আসামীর নাম বাদ দিয়ে অন্য দুইজনের নাম যোগ করা সহ ভুল তথ্যের বিষয়টি জানতে পারে। তিনি তাৎক্ষনিক বিষয়টি গুইমারা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সেক্রেটারী মেমং মারমাকে মুঠোফোনে এবং সাংবাদিকদের অবহিত করেন।

২৯জুলাই বুধবার গুইমারা উপজেলায় কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকরা ওসি মিজানুর রহমানের কাছে বাদীর দেওয়া ২নং আসামী ময়নাকে বাদ ও এজাহারে অপর দুই ব্যক্তিকে মামলার আসামি করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে অভিযোগটি অস্বীকার করলেও তদন্তে দুজনের সম্পৃক্ততা না পেলে মামলা থেকে তারা অব্যাহতি দেয়ার আশ্বাস দিলেও কে বা কার নির্দেশে বা কাদের ইশারায় বাদীর অভিযোগহীন দুজনের নাম যুক্ত করার বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যায়। তদন্তে যাদের সম্পৃক্তা পাওয়া যাবে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার কথা জানান।

তবে এধরনের জঘন্যতম ঘটনার বিচার প্রক্রিয়ার শুরুতেই কুচক্রী মহলের সাথে আতাঁত করে পুলিশ যে দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন বেআইনী কাজ করেছে তাতে ন্যায় বিচার পথকে কিছুটা হলেও বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

অপরদিকে, দু:চরিত্রা আপন মা আসামী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা নির্যাতিত শিশুকন্যাটিকে জিম্মি করে পুলিশ ও আদালতে মিথ্যা স্বাক্ষ্য দিতে বাধ্য করাচ্ছে অভিযোগ করে শিশু কন্যাকে উদ্ধার করে নিরাপত্তার স্বার্থে বাদীর জিম্মায় বা সরকারি হেফাজতে রাখার দাবী করেন মামলার বাদী ভিকটিমেরর পিতা জাহাঙ্গীর আলম।
শ্যাম প্রসাদ বনিক ও শাহিদা আক্তার ময়নাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন এলাকাবাসী। রাষ্ট্র যদি এমন নিন্দনীয় জঘন্যতম কাজের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে অপরাধ ও সামাজিক অবক্ষয় আরো বেড়ে যাবে বলে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মতামত ব্যক্ত করেন। তাই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির পাশাপাশি ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টারত পুলিশ ওঅতি উৎসাহী কুচক্রী মহলটিকও আইনের আওতায় আনার দাবী জানান এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর পরিবার।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post