খুললো নতুন সম্ভাবনার দ্বার: জুতা, লুঙ্গি ও খাদ্য দ্রব্য তৈরীর কারখানা এখন পাহাড়ে
পাহাড়ের আলো: খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ মানুষের যতগুলো মৌলিক অধিকার রয়েছে তার মধ্যে খাদ্য ও বস্ত্র অন্যতম। এই পাহাড়ের প্রাকৃতিক সম্পদ ভরপুর থাকলেও এ অঞ্চলের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ছিল চরম খাটতি। পিছিয়ে পরা এই জনগোষ্টির চাহিদা মেটাতে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পাহাড়ে এই প্রথমবারের মত স্থাপিত হলো উৎপাদনমুখি কারখানা(ফ্যাক্টরী)। লক্ষ্মীছড়িতে তৈরী হবে লুঙ্গি, গুইমারা জালিয়া পাড়ায় জুতা এবং আধুনিক উন্নত মানের বেকারী খাদ্যদ্রব্য তৈরী হবে মাটিরাঙ্গায়। এই কারখানা চালু করার মধ্য দিয়ে এই সবুজ পাহাড়ে খুলে গেলো নতুন সম্ভাবনার দ্বার। সৃষ্টি হবে শত শত বেকার যুবকের কর্মসংস্থান। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারাবহিকতায় এই ফ্যাক্টরী স্থাপন করতে এগিয়ে এসেছে গুইমারা রিজিয়নের সেনাবাহিনী।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাবে পাহাড়ের কর্মজীবি অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যই এ উদ্যোগ। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এ কাজে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। আর একাজে কারিগর ও শ্রমিক হিসেবে কাজ করবে এলাকার বেকার ছেলে-মেয়েরা। এ ফেক্টরীতে উৎপাদিত পণ্য এলাকার চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানাী করা হবে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। যথাযথ মান সম্মত পণ্য তৈরীতে সরাসরি তদারকি করবে সেনাবাহিনী। ফ্যাক্টরীতে পন্য উৎপাদনের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের ইতিমধ্যেই বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে সেনা সহযোগিতায়। পাহাড়ের বিশাল বেকার শিক্ষত জনশক্তিকে মানব সম্পদে পরিনত করে এই ধরনের লাভজক ফ্যাক্টরী জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিজ্ঞমহল মনে করে।
গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জি বলেন, এলাকার বেকার ছেলেদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এই ফ্যাক্টরী স্বল্প পরিসরে প্রথম পর্যায়ে শুরু হয়েছে। আগামীতে এর পরিধি আরো বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, এ অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কল্যাণেই সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগ। দুর্গম পার্বত্য এলাকার অসহায় এবং গরীব মানুষের উন্নয়নে জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে গুইমারা রিজিয়ন সর্বদা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে বলে রিজিয়ন কমান্ডার জানান।