২০৩ পদাতিক ব্রিগেড খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতি উন্নয়নে কাজ করছে
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড তথা খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ৪৬-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শরণার্থী টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদ-মর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড খাগড়াছড়িতে স্থাপনলগ্ন থেকেই পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতি উন্নয়নে অবদান রেখে এসেছে। জনগণের স্বার্থ সুরক্ষা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখায় সদা সচেষ্ট। এলাকার নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, সংস্কৃতি এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও তাঁরা অনস্বীকার্য্য ভূমিকা পালন করছেন। তিনি (এমপি) তাঁর এবং অন্য অনেকের রাজনৈতিক জীবনের অগ্রগতিতে ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড’র অবদানের কথা স্বীকার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি ১১ অক্টোবর দুপুরে খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট অডিটোরিয়ামে ২-৩ পদাতিক ব্রিগেড ও খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন’র ৪৬-তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন, ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড’র অধিনায়ক ও খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: জাহাঙ্গীর আলম। খাগড়াছড়ি রিজিয়ন’র ব্রিগেড মেজর (বিএম) মেজর আবুল হাসনাত’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, সেনাবাহিনী এখন ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’ বাস্তবায়নে কাজ করছে। ‘অপারেশন উত্তরণ’র আওতায় পাহাড়ি-বাঙালি সকল মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
তিনি দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন, এই রিজিয়নের আওতাধীন প্রত্যন্ত এলাকায় চলমান যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের পথে নিরাপত্তা বিধানে সেনাবাহিনী সবার পাশে থাকতে বদ্ধপরিকর। চলমান অগ্রযাত্রা এবং সরকারি কাজে বাধা আসলে অথবা সেনাবাহিনীর অভীষ্ট প্রত্যয়ে যে কোন শক্ত হাতে মোকাবেলা করা হবে। এই ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, ডিজিএফআই’র ডেট কমান্ডার কর্ণেল সরদার ইসতিয়াক আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এএসইউ’র ডেট কমান্ডার লে: কর্ণেল চৌধুরী মোহাম্মদ সামসুল আলম আল বাহার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ^াস, পুলিশ সুপার নাইমুল হক, মং সার্কেল’র চীফ সাচিংপ্রু চৌধুরী, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী এবং সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: শানে আলমসহ উচ্চ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, জেলার বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড’র নিহত সকল সৈনিক-সহযোদ্ধাদের আত্মার শান্তি কামনার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর একটি কেকও কাটা হয়। সব শেষে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের সৌজন্যে অভ্যাগত অতিথিরা মধ্যাহ্ন ভোজে সমবেত হন। পুরো অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অতিথিদের সার্বিক তদারকি করেন, রিজিয়নের জি-টু (আই) মেজর জাহিদ হাসান।