খাগড়াছড়িতে মসজিদে হামলা, গুলিবর্ষণ ও লুটপাটের তীব্র নিন্দা পিসিসিপির

শেয়ার করুন

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়িতে দিনব্যাপী অবরোধ চলাকালে সাধারণ ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণ, মসজিদে হামলা, দোকানপাট লুটপাট এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার নিন্দা জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটি।

২৭ সেপ্টেম্বর শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহাদাত হোসেন কায়েশ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিব আজম বলেন-“উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে খাগড়াছড়ি শহরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তারা ঘোষণা দিয়ে পবিত্র ধর্মীয় স্থান মসজিদে হামলা, দোকানপাটে লুটপাট ও সাধারণ ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করেছে। এতে অন্তত ১৪ জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে এক স্কুলছাত্রী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হলে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশ অভিযুক্ত শয়ন শীলকে গ্রেপ্তার করে। বাকি অভিযুক্তদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। অথচ পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরশুদিন অবরোধ ও গতকাল মহাসমাবেশের নামে উসকানিমূলক বক্তব্য, স্লোগান ও ফেস্টুনের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে। এর পেছনে চিহ্নিত সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ সংগঠনের।

পিসিসিপি নেতারা বলেন— “ধর্ষণের বিচারের নামে তারা আসলে বিচার চায় না; বরং এ ঘটনাকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বিপরীতে তারা অগ্নিসংযোগ, হামলা ও লুটপাটের পথ বেছে নিয়েছে, যা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। আসন্ন দুর্গাপূজা, বৌদ্ধ ধর্মীয় উৎসব ও জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পাহাড়ের পরিবেশ অশান্ত করছে।”

বিবৃতিতে সংগঠনটি অবিলম্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে দেশদ্রোহী ও সন্ত্রাস দমন আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান, ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং পাহাড়ে সমস্ত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে।