একের পর এক ধ্বসে পড়ছে হালদার সিসি ব্লক, ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: একের পর এক ধ্বসে পড়ছে বিশ্বের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর তীর রক্ষা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে সিসি ব্লক। প্রকল্প বাস্থবায়নে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। হুমকীর মুখে পড়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১ শত ৫৭ কোটি টাকার এই প্রকল্পে।
সরেজমিনে পরিদর্শনে ভূক্তভোগীরা জানান, কয়কেদনি আগে সমিতিরহাট-রোসাংগীরি হাজী পাড়া এলাকায় প্রকল্পের সিসি ব্লক গুলো ধ্বসে পড়েছে, তার আগে গত আগষ্ট মাসে নাজিরহাট নতুন ব্রীজের পশ্চিম পাশে এবং সুয়াবিল মন্ধাকিনী খালের সংযোগ এলাকায় ব্লক ধ্বসে পড়েছে। দেখা গেছে সিসি ব্লক গুলো ধ্বসে পড়েছে হালদা নদীর বুকে, ছিড়ে গেছে ব্লকের নিচে বসানে জিও টেক্সটাইল। ব্লক স্থাপের স্থানে ইটের কনা আর বালির পরিমান খুবই কম।
এ বিষয়ের স্থানীয় জনসাধারণ ঠিকাদারী প্রতিষ্টান রহমান ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল প্রকৌশলীদের অবহেলার অভিযোগ তুলেন। ভুক্তভোগী হালদা পাড়ের মানুষেরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেন।
সমিতিরহাট ইউপি সদস্য মো. আইয়ুব অভিযোগ করে জানান, সিসি ব্লক গুলো স্থাপনের সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী ও ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে আমরা অভিযোগ করেছিলাম। বলেছিলাম, নদী থেকে তোলা মাটি গুলো শক্ত হবার আগে যাতে ব্লক না বসায়। কিন্তু তারা আমাদের কথায় কর্ণপাত না করেই ব্লক স্থাপন করে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি ও হাটহাজারি উপজেলায় হালদা নদী ও ধুরং খালের তীর রক্ষা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে ১৫৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রকল্পটি বাস্ত বায়নে পানি উন্নয়ন বোর্ড তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ শুরু করলেও প্রকল্প এলাকায় বেশ কিছু কাজ দৃশ্যমান হবার ২-৩ মাসের মাথায় সিসি ব্লক গুলো ধ্বসে পড়তে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রামের সাব ডিভিশনাল অফিসার মো. আরিফ রহমান বলেন, হালদা নদী ও ধুরং খালের তীর রক্ষা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান। ধ্বসে পড়া সিসি ব্লক গুলো ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে পূণ:রায় ঠিক করে দিতে বলা হয়েছে।