খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যদের দায়িত্ব বন্টন
পাহাড়ের আলো: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের বিভিন্ন হস্তান্তরিত বিভাগের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের সদস্যদের মাঝে দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে। ১৪ নভেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, জেলা সদরের বঙ্গমিত্র চাকমা দায়িত্ব পেয়েছেন মৎস্য বিভাগ ও প্রকৌশল বিভাগের দরপত্র কমিটি(উন্নয়ন সংক্রান্ত)। লক্ষ্মীছড়ির অনিময় চাকমা দায়িত্ব পেয়েছেন মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ ও তুলা উন্নয়ন বোর্ড। জেলা সদরের নিটোল মনি চাকমা দায়িত্ব পেয়েছেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। মাহবুবুল আলম দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা ক্রীড়া ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। শেফালিকা ত্রিপুরা দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা গ্রন্থাগার ও সমবায় বিভাগ। ধনেশ্বর ত্রিপুরা দায়িত্ব পেয়েছন হর্টিকালচারসমূহ ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন। মাটিরাঙ্গা উপজেলার প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা দায়িত্ব পেয়েছেন বাজার ফান্ড প্রশাসন। মো: শহিদুল ইসলাম (সুমন) দায়িত্ব পেয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ ও পর্যটন কর্পোরেশন। জয়া ত্রিপুরা দায়িত্ব পেয়েছেন সংস্কৃতি বিভাগ( শিল্পকলা,ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট), জেলা পরিষদ পার্ক। মাটিরাঙ্গার এ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা দায়িত্ব পেয়েছেন প্রাণী সম্পদ বিভাগ। মহালছড়ি উপজেলার কংজপু মারমা দায়িত্ব পেয়েছেন, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। মানিকছড়ি উপজেলার কুমার সুইচিংপ্রু সাইন, সাথোয়াই প্রু চৌধুরী দায়িত্ব পেয়েছেন সমাজসেবা বিভাগ ও শিশু সদন। পানছড়ি উপজেলার প্রফেসর আবদুল লতিফ দায়িত্ব পেয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ।
উল্লেখ্য ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়। খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদে প্রথমবারের মত নতুন নারী চেয়ারম্যান হয়েছেন জিরুনা ত্রিপুরা। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলীমা বেগম।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন, ১৯৮৯ ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৭ এর ১৬ক। (৪) উপধারা এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৪ এর ২(২) উপধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার ১৫সদস্য বিশিষ্ট খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।
এদিকে নবগঠিত খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের পুরো প্যানেল বাতিলের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে এবং মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।