খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়িতে এলএসটিডি প্রকল্পের অর্থায়নে কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক কার্যালয় এর এলএসটিডি প্রকল্পের অর্থায়নে সদর উপজেলার কমলছড়ি ব্লকের পাইলট পাড়া প্রযুক্তি গ্রামে কৃষকদের মাঝে প্রকল্পের অর্থায়নে বীজ, সার ও কীটনাশক ইত্যাদি কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার কমলছড়ি ব্লকের পাইলট পাড়া গ্রামে কৃষকের ৪০ একর জমিতে প্রায়োগিক মাঠ পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রমের (প্রদর্শনী) ৪০জন কৃষাণীর মাঝে এসব কৃষি উপকরণ বিতরণ করেন।
বিতরণকৃত উপকরণের মধ্যে ছিল সার যথাক্রমে ইউরিয়া, ডিএপি, এমওপি, জিপসাম, জিংক সালফেট এবং রোগ ও পোকামাকড় দমনের জন্য কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক সহ সাইনবোর্ড।
কৃষি উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মীর ওবায়দুর রহমান শাওন সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় এর প্রধান ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম।
এসময় মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ধান চাষে সুষম সার ব্যবস্থাপনা, সঠিক উপায়ে চারা রোপণ, আগাছা ব্যবস্থাপনা, পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করেন এবং সঠিক উপায়ে বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেন।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও বোরো মওসুমে প্রযুক্তি গ্রামে ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় খাগড়াছড়ি কর্তৃক ৪টি স্থানভিত্তিক মাঠ গবেষণা কার্যক্রম এবং কৃষি যন্ত্রপাতির প্রায়োগিক পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এতে কৃষকদের আধুনিক ধান চাষাবাদে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ উক্ত গ্রামে ধান তথা খাদ্য উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
এসময় স্থানীয় কৃষকদের পক্ষে বাবলু চাকমা বক্তব্যে বলেন, ব্রি’র বিজ্ঞানীদের পরামর্শ মোতাবেক তিনি ধান চাষাবাদ এবং উক্ত কার্যালয়ের সকল কার্যক্রমে প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে আসছেন। খাগড়াছড়ি ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় এই গ্রামের কৃষকদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে আসছেন এবং এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে উক্ত গ্রামে প্রদর্শনীভূক্ত কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বোরো মওসুমের ব্রি উদ্ভাবিত স্থানভিত্তিক জনপ্রিয় উচ্চফলনশীল ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছিলো।