খাগড়াছড়িতে বিচারকের বাসায় চুরির ঘটনায় গ্রেফতার হয়নি চোর

শেয়ার করুন

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি জেলা শহরের তালুকদারপাড়া এলাকায় অবস্থিত একটি বহুতল ভবনে বসবাসরত দুই অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের বাসায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা আদালতে কর্মরত দুই বিচারকের বাসা থেকে প্রায় নয় লক্ষ সাতত্রিশ হাজার পাঁচশত টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এজাহার হতে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, বিগত ৯ সেপ্টেম্বর,  বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে ঘটনাটি ধরা পড়ে। চুরির শিকার দুই বিচারক হলেন— মোহাম্মদ মোস্তাইন বিল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত), খাগড়াছড়ি ও তার স্ত্রী শায়লা শারমিন। শায়লা শারমিন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয় আদালত) হিসেবে কর্মরত আছেন।

দু’জনেই পরিবারসহ খাগড়াছড়ি সদর থানাধীন তালুকদারপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের চারতলা ভবনের তৃতীয় তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছেন । ঘটনার দিন সকালে তারা নিয়মমতো অফিসে যান। এ সময় তাদের বড় সন্তান আহিয়ান বাড়িতে ছিল, পরে সকাল ১১টার দিকে দরজায় তালা লাগিয়ে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে চলে যায়।
বিকেলে বিচারক দম্পতি বাসায় ফিরে দেখেন দরজার তালা ভাঙা এবং ঘরের কাগজপত্র এলোমেলো অবস্থায় ছড়িয়ে রয়েছে। পরে দেখা যায়, স্টিলের আলমারি ভেঙে সেখান থেকে বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার চুরি করা হয়েছে।

চুরি যাওয়া স্বর্ণালঙ্কারের  মধ্যে  রয়েছে – স্বর্ণের ছুঁড়ি ২টি (২ ভরি),  গলার চেইন ২টি (১ ভরি) কানের দুল ১ জোড়া (৮ আনা), গলার লকেট ১টি (৮ আনা), ছোট কানের দুল ৬ জোড়া (১.৫ ভরি) বড় আংটি ১টি (৮ আনা), ছোট আংটি ১টি (৪ আনা)
মোট চুরির পরিমাণ আনুমানিক ৯,৩৭,৫০০ (নয় লক্ষ সাঁইত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকা।

ঘটনার খবর পেয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটের মধ্যে চোরেরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

এই ঘটনায় বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানার মামলা করেছে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সেরেস্তাদার মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা  বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি পরিকল্পিত চুরি। অপরাধীদের সনাক্ত করতে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।”

উল্লেখ্য, দুই বিচারকের ভাড়া বাসায় চুরি হবার পর এক মাস পেরিয়ে গেলেও চোর গ্রেফতার না হওয়া , চোরাইমাল উদ্ধার না হওয়া বা চুরির রহস্য উদঘাটন না হওয়ার  ঘটনাটি খাগড়াছড়ি জুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।