দীঘিনালায় দেড় লক্ষ বাঁশ নদীতে, ভেসে যেতে পারে যে কোনো মূহুর্তে
মোঃ আল আমিন, দীঘিনালা: দীঘিনালার বাবুছড়া এলাকায় মাইনী নদীতে পড়ে আছে দেড় লক্ষাধিক বাঁশ। এই বিপুল পরিমাণ বাঁশ রাজস্ব পরিশোধ করার পরও পরিবহন অনুমতি না পাওয়ায় রোদ এবং বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে ভারী বর্ষণের পর পাহাড়ী ঢলে ভেসে যেতে পারে এমন আশঙ্কাও করছেন বাঁশ ব্যবসায়ীরা!।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া এলাকায় বাঁশের ঘাট ঘুরে দেখা যায়, নদীর দুই পাড়ে বিপুল পরিমাণের বাঁশের সারি সারি করে বাধা আছে। জানা যায়, বাঁশ পরিবহনের অনুমতি (আন্তঃজিলা ছাড়া পত্র) টিপি এর মেয়াদ বা তারিখ শেষ হওয়ার কারণে রাজস্ব পরিশোধ করা বাঁশ পরিবহন করতে পারছেন না। যার আনুমানিক বাজার মূল্য পৌনে এক কোটি টাকার মতো। এদিকে নদীর দুই তীরে বাধা বাঁশগুলি একদিকে যেমন রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ী ঢলে ভেসে যেতে পারে!।
এব্যাপারে বাঁশ ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর জুন, জুলাই, আগস্ট মাস বাঁশের বংশ বিস্তারের মাস। এসময় বাঁশ কাটা পুরোপুরি নিষিদ্ধ থাকে কিন্তু আমাদের বাঁশগুলি ৩১ মে এর আগে কাটা এবং রাজস্ব পরিশোধ করা। তাই বাঁশ পরিবহনের অনুমতি প্রদান করা না হলে আমাদের বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে।বাবুছড়া বাঁশ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অরুন বিকাশ চাকমা জানান, মাইনী নদীতে প্রায় দেড় লক্ষাধিক বাশ রয়েছে। যা ৩১ মে এর অাগে কর্তনকৃত। তাই অন্যান্য বছরের মতো কর্তনকৃত বাঁশ পরিবহনের সুযোগ দেয়া না হলে এখানকার হাজার হাজার পাহাড়ী বাঙ্গালী পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এব্যাপারে পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের নাড়াইছড়ি রেঞ্জ এর রেঞ্জ কর্মকর্তা গোলাম রসুল এর মুঠোফোনে বেশ-কয়েবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অফিসে গিয়েও একজন স্টাফ ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাশেম, বাবুছড়া বাঁশ ব্যবসায়ীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, সমতলে বাঁশ পরিবহনের জন্যে দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে।