পুনর্মিলনীকে ঘিরে গুইমারায় উৎসবের আমেজ
স্টাফ রিপোর্টার: ঐতিহ্যবাহী গুইমারা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রথম বারের মত প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী উৎসবকে ঘিরে গুইমারা উপজেলায় এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। আগামী ২৬ জানুয়ারী শুক্রবার প্রথম বারের মত বৃহত্ত আয়োজনকে ঘিরে নানা রঙে সাজানো হয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যাপীঠকে। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পুনর্মিলনী উৎসবের আয়োজন সমাপ্তের পথে বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান/১৮ইং উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী গুইমারা ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমা ও সদস্য সচিব মো: আমির হোসেন।
গুইমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন, ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ কামরুজ্জামানসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ এতে উৎসব মুখোর পরিবেশে এ আয়োজনে অংশ নেবেন।
বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে রয়েছে বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালীসহ নানা আয়োজন। শুক্রবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে স্মারক গ্রহন দিয়ে শুরু হবে দিনের আয়োজন। আর শেষ হবে দেশবরেণ্য শিল্পীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাত ১১টায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তির কথা রয়েছে। এ আয়োজনে নানা সম্প্রদায়ের নানা বয়সের মানুষ রঙ বিরঙের সাজে অংশ গ্রহন করবে বলে জানান আয়োজক কমিটি। এছাড়াও নানা ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আলাদা আলাদা ব্যানারে অংশ গ্রহন করবে। পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহবায়ক গুইমারা ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমা জানান, ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত গুইমারার এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী উদযাপনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ পুনর্মিলনীতে দল,মত নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ গ্রহণের মাধ্যমে এই উৎসবকে সফল করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এ উৎস গুইমারাবাসীর। তাই সকলে মিলেমিশে পুনর্মিলনীকে সফল ও সার্থক করতে তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান। পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মো: আমির হোসেন বলেন, ইতি মধ্যে পুনর্মিলনীকে সফল করতে সব ধরনের আয়োজন নিশ্চিত করা হয়েছে। এ আয়োজনের গুইমারা স্কুল প্রাঙ্গনে আলোচনা সভাসহ সাংস্কৃতিক আয়োজনের ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে এ উৎসব গুইমারার সর্ব বৃহত্ত উৎসে পরিণত হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
দিনব্যাপী আয়োজন মালায় রয়েছে-৭ সকাল ৭টায় স্মারক গ্রহণ, সাড়ে ৮টায় জমায়েত, জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শুভ উদ্বোধন,সাড়ে ৯টায় বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালী,সাড়ে ১০টায় আমন্ত্রিত অতিথিদের আসন গ্রহণ বরণ ও স্মারক প্রদান, ১০টা ৪৫ মিনিটে প্রয়াতদের স্মরণে নিরবতা,থিত সং ও সম্প্রীতি নৃত্য পরিবেশনা, ১১টায় ১৫ মিনিটে স্মরনিকার মোড়ক উম্মোচন, ১১টা ২৫ মিনিটে প্রধান অতিথির উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ, ১১টা ৪০ মিনিটে আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান, দুপুর সাড়ে ১২টায় নামায ও মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতি ও দুপুর আড়াইটায় স্মৃতি চারণ, বিকেল ৪টায় র্যাফেল ড্র,পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা,বিকেল সাড়ে ৫টায় ফানুস উত্তেলন ও আতশবাজী প্রজ্জ্বলন ও সন্ধ্যা ৬টা থেকে স্থানীয় ও দেশবরেণ্য শিল্পীদের মনোজ্ঞ মঞ্চ কাপানো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।