মাটিরাঙ্গা তাইন্দংয়ে ধানের শীষের গণসংযোগে আ’লীগের হামলা, আহত ১৩
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়ন বাজারে ধানের শীষের গণসংযোগ ও পোস্টার-ব্যানার লাগানোর সময় হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা।
সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে তাইন্দং বাজারে মসজিদের পাশে ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হুমায়ুন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা মোজাফ্ফর আলী, সেচ্চাসেবক লীগের মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোজাম্মেল হোসেন মুজা, মোঃ আবু তাহের, আবদুল হান্নান, মোঃ লিটন মিয়া, মোঃ হোসেন মিয়া, শাহীন সরকারসহ ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় আহত করা হয়েছে তাইন্দং ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কোরবান আলী, তাইন্দং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহŸায়ক রফিকুল ইসলাম মেম্বার, তাইন্দং বিএনপির সিঃ সহ-সভাপতি হাবিব মেম্বার, যুগ্ম সম্পাদক আবুল হাসেম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মোকতার, তাইন্দং যুবদলের সাবেক সভাপতি তহিদুল ইসলাম, ২নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি নেকবর আলী, গ্রীনহিল কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, তাইন্দং ছাত্রদলের স্কুল বিষয়ক সম্পাদক মো. ইমন, ছাত্রদল সদস্য রুবেল হোসেন ও সেলিম।
এরমধ্যে ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কোরবান আলী, ছাত্রদল সদস্য রুবেল হোসেনসহ ৪ জন গুরতর আহত হয়েছেন। তাদের ২ জনকে চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে আনা হচ্ছে। বাকীরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যজোট মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম ভূইয়া ফরহাদ ও খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া। ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম ভূইয়া ফরহাদ অভিযোগ করে বলেছেন, খাগড়াছড়িতে নির্বাচনী পরিবেশ আগে থেকেই অসমতল। লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই। নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। হামলা-মামলা, বাড়িঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনা চালাচ্ছে।
বিএনপি প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে নির্বাচনী প্রচারণায় এবং নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও মামলার ঘটনা চালানো হচ্ছে। এর আগেও জেলার মাটিরাঙ্গা, পানছড়ি, দীঘিনালা, রামগড়, মাকিছড়ি ও মহালছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে প্রচারণায় বাধা ও নেতাকর্মীদের উপর হামলা-মামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা গ্রহণ করে না। উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও গ্রেফতার করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে এসব বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানানো হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। তিনি নির্বাচনী পরিবেশ ফিরিয়ে এনে জনগণের ভোট দানের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।