লামায় তিন দিনের ব্যবধানে ২ পাথর শ্রমিক নিহত,ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা
লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি: বান্দরবানের লামায় তিন দিনের ব্যবধানে পাথর চাপায় আরেক শ্রমিক নিহত হয়েছে। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছমুখালের আগায় বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে প্রশাসনের কাউকে না জানিয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে নিহতের লাশ দাপন করা হয়। জানা যায়,নিহত পাথর শ্রমিক জাহেদুল ইসলাম (১৭) পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের রাজার বিল এলাকার মো. ইলিয়াছের ছেলে। অবৈধ পাথর কোয়ারিটি ছিল চকরিয়ার হাসেঁর দিঘি এলাকার আমির হোসেনের ।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, ফাঁসিয়াখালীর ছমুখালের আগায় বৃহস্পতিবার দুপুরে বড় একটি পাহাড় কেটে পাথর উত্তোলন করছিল ১০/১২ জন শ্রমিক। এসময় হঠাৎ করে পাহাড়ের বড় একটি অংশ পাথর সহ ধসে পড়ে। তখন অসতর্ক অবস্থায় চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয় জাহেদুল ইসলাম। এসময় আরো ২ জন শ্রমিক আহত হয়েছে। তাদের একজন মো. ইলিয়াছ (৪৮) ও অপরজনের নাম জানা যায়নি। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে পাথর ব্যবসায়ীরা নিহতের পরিবারের সাথে গোপনে আঁতাত করে প্রশাসনের কাউকে কিছু না জানিয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে লাশটি বাড়ি পাশে দাফন সম্পন্ন করে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আপ্রুসিং মার্মা বলেন, পাথর চাপা পড়ে নিহত ও আহতের সংবাদ শুনেছি। পাথর ব্যবসায়ীরা আইনী হয়রাণী এড়াতে লাশটি গোপনে নিয়ে যায় এবং গভীর রাতে দাফন করে ফেলে। লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমাদের কেউ অবহিত করেনি।
উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের ডলুঝিরি এলাকায় রোহিঙ্গা মো. আজম নামে এক পাথর শ্রমিক নিহত হয়। বিগত ৩ মাসে উপজেলার গজালিয়া ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন পাথর কোয়ারীতে তিন শ্রমিক নিহত ও প্রায় ৮/৯ জন পাথর শ্রমিক চিরতরে পঙ্গু হয়ে মানবতের জীবন অতিবাহিত করছেন।