উদ্বাস্তু পুনর্বাসনের তালিকা বাতিলসহ ৫ দফা দাবিতে মানবন্ধন
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স কর্তৃক প্রকৃত আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু ২৬ হাজার বাঙালি পরিবারকে বাদ দিয়ে ৮২ হাজার পাহাড়ি পরিবারকে আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু হিসেবে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রণীত তালিকা বাতিলসহ ৫ দফা দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য অধিকার ফোরাম, বৃহত্তর পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নারী অধিকার ফোরাম। ১ অক্টোবর সোমবার সকালে শহরের শাপলা চত্ত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
দাবীর মধ্যে রয়েছে, উপজাতীয় নেতৃবৃন্দ কর্তৃক ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে প্রণীত তালিকা বাতিল করা, বাঙালি নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনায় বসে প্রকৃত উদ্বাস্তুদের তালিকা প্রনয়ণ করা, ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯৬ সালে পর্যন্ত শান্তিবাহিনীর হামলায় ঘরবাড়ি হারানো ও উদ্বাস্তু ২৬ হাজার বাঙালি পরিবারকে পূনর্বাসনের উদ্দ্যোগ গ্রহণ, খাগড়াছড়ি জেলায় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের ভূমি দখল মিশনে দখলকৃত রামগড়ের পাতাছড়া ইউনিয়নের সংখ্যালঘুদের দখল কৃত ভূমি ফেরত দেওয়া ও রামগড়, মানিকছড়ি, সিন্দুকছড়ি ও উল্টাছড়ি সহ ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী দখলকৃত ভূমি উদ্ধারে প্রশাসনকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে আগামী ৯ অক্টোবর খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ও ১২ অক্টোবর খাগড়াছড়ি জেলা সদরে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। দাবী আদায় না হলে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচী দিয়ে পাহাড় অচল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী ও আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু বিষয়ক টাস্কফোর্সের সভায় সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে প্রকৃত আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু ২৬ হাজার বাঙালি পরিবার বাদ দিয়ে মিয়ানমার ও ভারতীয় ৮২ উদ্বাস্তু পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক মো. এস এম মাসুম রানা, পার্বত্য নারী অধিকার ফোরামের সভানেত্রী সালমা আহমেদ মৌ, চাঁদনি হাওলাদার ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। এর আগে চেঙ্গী স্কোয়ার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।