কারাগারে থেকেও গাড়ি পোড়ানোর মামলায় আসামী যুবদল নেতা আরিফ

স্টাফ রিপোর্টার: ৫দিন ধরে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় কারা অন্তরীন থাকা অবস্থায় আরো একটি গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় মামলার আসামি হয়েছেন যুবদল নেতা জহির খান আরিফ ওরফে আবির। এ ঘটনাটি খাগড়াছড়ির। আরিফ জেলার পানছড়ি উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। সে পানছড়ি উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের ফাতেমা নগরের সোহরাব হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, গত ৫ নভেম্বর বিকাল ৫টার দিকে পুলিশ খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়ার বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় খাগড়াছড়ি জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুব আলম সবুজ ও যুবদল নেতা জহির খান আরিফসহ ৫ জন বিএনপি ও যুবদল নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আরিফসহ ৫ জনকে খাগড়াছড়ি জিরো মাইল সংলগ্ন আলুটিলায় মিনি ট্রাকে আগুন দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার এসআই মিনহাজুল আবেদীন বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়াসহ ৪০ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ব্যক্তিকে মামলার আসামি করা হয়। এ মামলায় ১৮ নং আসামি যুবদল নেতা জহির খান আরিফ। খাগড়াছড়ি সদর থানার জিআর ১৬১/২৩ তারিখ: ০৬/১১/২০২৩ ইং মামলায় যুবদল নেতা আবির এখনো কারাগারে রয়েছে বলে দাবী খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছারের।

অপর দিকে গত ৮ নভেম্বর অবরোধ চলাকালে খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে মাটিরাঙা উপজেলার সাপমারা এলাকায় একটি কুরিয়া সার্ভিসের গাড়িতে আগুন দেয় দুবৃত্তরা। সকাল সোয়া ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই মাটিরাঙা থানার এসআই মাসুদ আলম পাটওয়ারী বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়াকে প্রধান করে ৮৩ জনের নামে মাটিরাঙা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং জিআর ১৩১।

৫দিন ধরে কারাগারে আটক যুবদল নেতা জহির খান আরিফকে এ মামলায় ৫৭ নং আসামি করা হয়েছে। ফলে প্রশ্ন কারাগারে আটক যুবদল কার সহযোগিতায় জেল থেকে বের হয়ে রাস্তায় পিকেটিং করলো ও কারাগার থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে সাপমারা এলাকায় গিয়ে আবার গাড়িতে আগুন দিল।

এ বিষয়ে মাটিরাঙা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যে জহির খান আরিফের নাম এসেছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হলে তার নাম বাদ দেওয়া হবে।