কৃষকের পাকা ধান কেটে দিলো মইনীয়া যুব ফোরামের কর্মীরা
পাহাড়ের আলো: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে শ্রমিক সংকটে দেশব্যাপী মাঠে থাকা কৃষকের পাকা ধান বিনা পারিশ্রমিকে কাটতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মইনীয়া যুব ফোরাম কাজ করছে। কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ। এ শোগানের ধারাবাহিকতায় মইনীয়া যুব ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত শাহ্সূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল্-মাইজভাণ্ডারী (মা.জি.আ.)’র নির্দেশে ইতোমধ্যে মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, শেরপুর, চাঁদপুর, কালিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে মইনীয়া যুব ফোরামের কর্মীরা মাঠ থেকে ধান কেটে কৃষকের বাড়ি পৌঁছানো ও ধান মাড়াইসহ সার্বিক সহযোগীতা করে যাচ্ছে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা শাহ্সূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী (মা.জি.আ.), মইনীয়া যুব ফোরামের নির্বাহী সভাপতি শাহ্জাদা সৈয়দ মাশুক- এ-মইনুদ্দীন, সিনিয়র সহসভাপতি শাহ্জাদা সৈয়দ হাসনাইন-এ-মইনুদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক আসলাম হোসাইনের নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেছেন। যারা বিনা পারিশ্রমিকে কৃষকের পাকা ধান কাটা ও মাড়াইয়ে সাহায্য করবে। এই টিমকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছেন মইনীয়া যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এক বার্তায় হযরত শাহ্সূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.) বলেন, বিশ্ব খ্যাদ্য সংস্থা ও জাতিসংঘ হুশিয়ার করেছে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ খাদ্য সংকট সৃষ্টি হতে পারে।
যার কারণে খ্যাদাভাবে বহু মানুষ মৃতুবরণ করার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশে কৃষক তার ফলানো ধানসহ কৃষিজপণ্য ঘরে তুলতে না পারলে দেশের জন্য এই সংকট আরো ভয়াবহ হতে পারে। তাই বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের কৃষকদের ফলানো ধানসহ অন্যান্য কৃষিজপণ্য কৃষকের ঘরে তোলা ও সংরক্ষণে যে পদক্ষেপ নিয়েছেন আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। তিনি মইনীয়া যুব ফোরামের কর্মীদের এই দুর্যোগে লেবার সংকটে থাকা কৃষকদের পাশে থাকার আহ্বান জানান। সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে রেজিষ্ট্রেশনকৃত উলেখিত সংগঠনটি এর আগেও পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতামুলক সেমিনার, সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন, দুর্যোগ কবলিত মানুষের সহযোগীতা, ফ্রী চিকিৎসা ক্যাম্প, রক্তদান, বাড গ্র“পিং ও করোনা প্রতিরোধে জীবানু নাশক সামগ্রী, জনসচেতনায় হ্যান্ড বিল ও কর্মহীন অসহায় মানুষদের খাদ্য সহায়তাসহ স্বেচ্ছায় বিভিন্ন মানবিক কাজ করে যাচ্ছে।