খাগড়াছড়িতে করোনা সচেতনতায় সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ
মোবারক হোসেন: করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে পরবর্তি নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সাপ্তাহিক হাট-বাজার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩০জুন পর্যন্ত এনজিও ঋণ আদায় কার্যক্রমের বন্ধ রাখার ঘোষণাও দিয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। পৌরসভার পক্ষ থেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো হয়েছে।
এদিকে জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলায় গণসচেতনতা বাড়াতে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে পুলিশের পাশাপাশি মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। এই তৎপরতার ফলে সাধারণ মানুষ অনেকটাই ঘরমুখি হয়েছে। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন চলাচল। অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে। এদিকে জেলার ৯টি উপজেলায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ ২৬ মার্চ হতে মাঠে কাজ শুরু করেছে। উপজেলা প্রশাসনের সাথে বৈঠক করে করনীয় বিষয় ঠিক করে বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামে সেনাবাহিনী। জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় , ময়ূরখীল, মগাইছড়ি ও বাইন্যাছোলা এলাকায় বিভিন্ন দোকান-পাট ও রাস্তায় জড়ো হওয়া মানুষদের ঘরমুখি করে দেয় সেনা সদস্যরা। সেই সাথে চা ও খাবারের রেস্তোরায় যেনো একের অধিক ব্যক্তি আড্ডা না দেয়-দোকান মালিকদের সেই নির্দশনাও দেয়া হয়। দোকানের ভিতর বসার চেয়ার টেবিল না রাখার পরামর্শ দেয়া হয়।
এছাড়াও হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করে জনবসতি এলাকাগুলোতে করোনা সতর্কতামূলক বক্তব্য রাখেন, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ ইকবাল, লক্ষ্মীছড়ি জোনের ক্যাপ্টেন নাসির ও থানা অফিসার্স ইনচার্জ হুমায়ুন কবির।
এসময় মাইকিং করে নিদের্শনা দেয়া হয় করোনা প্রতিরোধে সরকারি আইন মেনে চলতে হবে। কেউ যদি আইন অমান্য করে পরবর্তিতে বাধ্য হরা হবে বলে হুশিয়ার করা হয়। নিজে সচেতন হতে হবে এবং অন্য কেউ সচেতন হকে হবে। আতংকিব হবার আর গুজবে যেনো কেউ কান না দেয়।
পরে উপজেলা সদরে ভারত থেকে আসা ৩জনসহ পরিবারের আরো ২সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলার নির্দেশ দেন। প্রশাসনের সাথে সমন্বয় রেখে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা সহ ৯টি উপজেলায় যুব রেডক্রিসেন্টের সদস্যরা করোনা সচেনতায় কাজ করছে।
এদিকে খাগাড়ছড়িতে করেনা সন্দেহে আইসোলেশনে থাকা মারা গেছে এক যুবক। জেলায় ১৩৪জন হোম কোয়ারেন্টাইন আছেন। এর মধ্যে ২জন ডাক্তার ও ৩জন নার্স রয়েছেন।