Homeস্লাইড নিউজশিরোনাম

খাগড়াছড়ির সকল পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার: পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত খাগড়াছড়ির সকল পর্যটন কেন্দ্র সকলের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশা

পানছড়িতে রস্ক প্রকল্পের কর্মশালা
রামগড়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও বিতরণ
খাগড়াছড়িতে ঈদ উল ফিতর উদযাপিত

স্টাফ রিপোর্টার: পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত খাগড়াছড়ির সকল পর্যটন কেন্দ্র সকলের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস সাংবাদিকদের এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানিয়েছেন।

খাগড়াছড়িতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর সাময়িক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব ঠেকাতে এবং খাগড়াছড়ি জেলাবাসীকে নিরাপদ রাখতে জনস্বার্থে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। খাগড়াছড়িতে ভারত ফেরত ৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত সংখ্যক শয্যাও।

১৮ মার্চ বুধবার বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, এমনিতে জাতীয় নীতি-নির্ধারণী পর্যায় থেকে যেহেতু বিদেশিদের বাংলাদেশে গমনাগমন এবং পার্বত্য এলাকা ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ বহাল আছে। তাই এই মুহুর্তে জেলায় কোন বিদেশি আসার  সম্ভাবনা নেই। কিন্তু সারাদেশের পর্যটকদের কাছে যেহেতু খাগড়াছড়ি ও সাজেকের একটি বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সুযোগে অনেক বেশি পর্যটক ভ্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। আর তাতে জেলায় করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দেশিয় পর্যটকদের ভ্রমণকে নিরুৎসাহিত করার ওপর গুরুত্ব দেয়া ছাড়া উপায় নেই।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আব্দুল আজিজ সাংবাদিকদের বলেন, করোনা ভাইরাস যেহেতু ছোঁয়াছে তাই দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে এই সময়ে যাতে পর্যটকরা জনস্বার্থে এবং নিজেদের স্বার্থে আপাতত ভ্রমণ থেকে বিরত থাকেন সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় শিশুদের বাসায় রাখার পাশাপাশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। পুরো জেলায় ৮০টি আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরমধ্যে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ৩০ বেড এবং অন্য উপজেলাগুলোতে মোট ৫০ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ভারত ফেরত ৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

খাগড়াছড়ির ডেপুটি সিভিল সার্জন মিটন চাকমা বলেন, একদিকে পর্যটন এলাকা। তাছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকেও মানুষ যাতায়াত করছে তাই খাগড়াছড়ির করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়াটা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। একমাত্র স্থানীয়দের সচেতনতা করোনা থেকে নিরাপদ রাখতে পারে। বিদেশ থেকে আসা খাগড়াছড়ির নাগরিকদের প্রথমে হাসপাতালে আসার আহ্বান জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস আরও বলেন, খাগড়াছড়ির কোনো নাগরিক যদি বিদেশ থেকে আসেন তাহলে তাঁকে অবশ্যই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এ ধরনের ব্যক্তিরা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকছে কিনা সেটি আমরা মনিটরিং করবো।