বনজদ্রব্য পরিবহনে রানীরহাটে ইছামতি বন বিটের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি
রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের রাঙ্গুনিয়ার রানীরহাট বাজারে সকল প্রকার বনজদ্রব্য পরিবহনে সাধারন ব্যবসায়ীদের হয়রানী করা হচ্ছে। বন বিভাগের নামভাঙ্গিয়ে বিনা রশিদে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা চাঁদাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে খোদ বনবিভাগের উর্দ্ধতন মহলে এ নিয়ে কানাঘুষা চলছে। একটি প্রভাবশালী মহল রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় খুবই দাপটের সাথে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন সহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয় বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
ট্রাক চালক মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের রানীরহাট বাজার সড়কের পাশে চা-দোকানে বসে সকল প্রকার বৈধ-অবৈধ বনজদ্রব্য পরিবহন থেকে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের ইছামতি বিটের নামভাঙ্গিয়ে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করা হয়। টাকা নেয়া হলেও কোন রশিদ সরবরাহ দেয়া হয়না।
জ¦ালানি কাঠ পরিবহনের জীপ চালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, বিভিন্ন সামাজিক বনায়ন থেকে জ¦ালানি কাঠ সংগ্রহ করে স্থানীয় ইটভাটা গুলোতে সরবরাহ করা হয়। জ¦ালানি ভর্তি কাঠ রানীরহাট বাজার অতিক্রম করার সময় বনবিভাগের নামভাঙ্গিয়ে বৈধ কাগজপত্র চেকিং করার নামে হয়রানী করা হয়। প্রশাসনিক ঝামেলা এড়াতে কাঠ ব্যবসায়ীরা তাদের মোটা অংকের টাকা দেয়।
স্থানীয় বৈধ জোত পারমিট এক কাঠ ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিদিন ১০-২০টি পরিবহনে কাঠ রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক রাঙ্গুনিয়া রানীরহাট হয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে পরিবহন করা হয়। ইছামতি বিট অফিসের নামে প্রতিটি কাঠভর্তি গাড়ি বাবদ মোটা অংকের চাঁদা পরিশোধ করতে হয়। চাহিদা মত চাঁদা না দিলে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করা হয়।
ইছামতি বিট কর্মকর্তা (ফরেষ্টার) মো. ফরিদ উদ্দিন কাজী বলেন, চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের রাঙ্গুনিয়া রানীরহাট বাজারে ফরেষ্টের সাবেক কর্মচারী (ওয়াসার) জনৈক মো. হাছান বনবিভাগের নামভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা উত্তোলন করা যাচ্ছে। চাঁদা উত্তোলনের সাথে বিট কর্তৃপক্ষ কোনভাবে জড়িত নয়। এহেন অপকর্মের ঘটনায় বনবিভাগের মানক্ষুন্ন হচ্ছে। এ বিষয়ে বন বিভাগের উর্দ্ধতন মহলে জানানো হয়েছে।