খাগড়াছড়িতে ইউপি মেম্বার হত্যার ঘটনায় মামলা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির দূর্গম থলিপাড়ায় এলাকায় পূর্ব শক্রতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় খাগড়াছড়ি সদর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড  মেম্বার ও হত্যা মামলার আসামি কালীবন্ধু ত্রিপুরাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার তিন দিন পর অন্তত অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

সোমবার বিকালে কালীবন্ধু ত্রিপুরা ছেলে যত্ন বিকাশ ত্রিপুরা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে। গত ২৯ মার্চ দীর্ঘ প্রায় দুই বছর পর নিজ বাড়িতে ফেরার পথে প্রতিপক্ষের হামলায় কালীবন্ধু ত্রিপুরা নিহত হয়। হামলায় কালীবন্ধু ত্রিপুরার পরিবারের নারী ও শিশুসহ আরও ৭ জন আহত হয়।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহাদাত হোসেন টিটু জানান, মামলায় নিহার বিন্দু ত্রিপুরাকে প্রধান করে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অন্তত ৩০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করা সম্ভব হচ্ছে না।

পুলিশ ও আহতরা জানায়, দীর্ঘ প্রায় দুই বছর পর তারা স্ব-পরিবারে চাঁদের গাড়ি ও মোটনসাইকেলে করে গ্রামে ফেরার পথে নিহার বিন্দু ত্রিপুরার নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী তাদের উপর ধারালো অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।

এ সময় ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায় ইউপি মেম্বার কালি বন্ধু ত্রিপুরা।  হামলায় কালি বন্ধু ত্রিপুরার স্ত্রী রেমা প্রতি ত্রিপুরা(৫৭), ছেলে প্রদীপ ত্রিপুরা (২৪),যত্ন বিকাশ ত্রিপুরা(৩০), আত্মীয় অরুনা ত্রিপুরা(৩৫), রুপবালা ত্রিপুরা(৩৫), বিদ্যা রতন ত্রিপুরা(৩৫) ও উৎপল ত্রিপুরা(০৮)।

প্রসঙ্গত, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২০১৭ সালের ১১ মে সন্ধ্যায়  থলিপাড়ায় প্রতিপক্ষের চিরঞ্জিত ত্রিপুরা (৫৫) ও তার পুত্র কর্ণ ত্রিপুরা (৩০) নিহত হয়। সে সময় আহত হয় চিরঞ্জিত এর স্ত্রী ভবেলক্ষী ত্রিপুরা (৪৫)ও পুত্রবধূ বিজলী ত্রিপুরা (২৮)। সে হত্যাকাণ্ডের  কালীবন্ধু ত্রিপুরা কারাভোগের পর জেলা শহরের পরিবার-পরিজন নিয়ে অবস্থান করছিল।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post