• December 10, 2024

মহালছড়িতে ৪৩ লক্ষ টাকার রাস্তা নির্মাণে নিন্ম মানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ: বালুর পরিবর্তে দেয়া হচ্ছে পাহাড়কাটা মাটি

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলা সদরের ২৪ মাইল এলাকায় ৪৩ লক্ষ টাকার গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে বালির পরির্বতে পাহাড়ের মাটি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া রাস্তার নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নিন্ম মানের ইট ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় প্রকল্প নেয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। এই প্রকল্পের আওতায় মহালছড়ি উপজেলায়,‘ গ্রামীণ মাটির রাস্তা সমূহ টেকসইকরণের লক্ষে হেরিং বোন বোল্ড (এইচবিবিকরণ) প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। উপজেলার ১নং চৌংড়াছড়ি আবু বক্করের দোকান হতে নোয়াপাড়া পর্যন্ত ১ হাজার মিটার এইচবিবি করণে কাজ শুরু হয়। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩ লাখ ২৮ হাজার ৩শ টাকা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, খাগড়াছড়ির থেকে প্রায় ২৪ কিমি দূরের মহালছড়ির উপজেলার ১ নং চৌংড়াছড়ি ইউনিয়নে নোয়াপাড়া এলাকায় এই গ্রামীণ সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। রাস্তার নির্মাণ কাজের শ্রমিকেরা জানান,‘রাস্তার নির্মাণের কাজে দুই স্তরের ইট দেয়া হচ্ছে। নীচের স্তরে ২ নাম্বার (নিন্ম মান) ইট দেওয়ার পর উ্পরের স্তরে দেওয়া হচ্ছে এক নাম্বার। এছাড়া রাস্তার বালুর পরিবর্তে দেয়া হচ্ছে পাহাড়ের মাটি। শ্রমিকেরা আরো জানান,‘আমাদের কাজের জন্য যা দেয়া হয়েছে সেটা দিয়ে কাজ চলছে। ইতিমধ্যে রাস্তার অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। শেষ হওয়ার রাস্তার মজবুতকরণের জন্য ইটের উপর বালু দেয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে দেওয়া হয়েছে রাস্তার পাশের মাটি।

স্থানীয়রা জানান,‘দীর্ঘদিন ধরে এটি মাটি রাস্তা ছিল। সম্প্রতি এটি নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে। এই রাস্তা বেশী দিন টিকবে না। পুরো রাস্তা নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে পাহাড়ের মাটির। বৃষ্টি আসলে রাস্তার মাটি ধুয়ে চলে যাবে। এলাকার একজন প্রবীন নির্মাণ শ্রমিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঠিকাদার এবং শ্রমিক যে ইটগুলোকে দুই নাম্বার দাবি করতেছে, প্রকৃত অর্থে সেগুলো কোন নাম্বারেই পড়ে না। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সদ্য নির্মিত রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গায় এরিমধ্যে ভাঙ্গন ও ধস দেখা দিয়েছে। ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গ্রামীণ রাস্তার এইচবিবিকরণের কাজ করছে স্থানীয় ঠিকাদার শাহাদাত হোসেন। নিন্ম মানের ইট ব্যবহা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘মাঝে মধ্যে ২ নাম্বার ইট ব্যবহার করা হচ্ছে । এছাড়া পাহাড়ি মাটি ব্যবহার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,‘ এখানে (মহালছড়ি) তো বালুমহল নেই তাই পাহাড় কাটা মাটির বালু ব্যবহার করা হচ্ছে।

মহালছড়ি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা (পিআইও) রাজ কুমার শীল জানান.‘ এখানে বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করার কোন সুযোগ নেই। এছাড়া রাস্তা নির্মাণে কাজে যদি ২নং বা নি¤œমানের ইট ব্যবহার করা হয় তাহলে তা তুলে ফেলা হবে। পুনরায় ভালো মানের ইট দিয়ে কাজ করতে হবে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক (অ.দা) আবুল হাশেম,‘ঘটনাস্থল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেতৃত্বে টিম পাঠানো হয়েছে। নিন্ম মানের কাজ করলে রাস্তাটি পুনরায় কাজ করতে হবে।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post