মহালছড়ি ও গুইমারায় বজ্রপাত: নিহত ১, আহত ১
স্টাফ রিপোর্টার: গুইমারা উপজেলার বাইল্যাছড়ি আরবাড়ীপাড়া এলাকায় লিপিকা ত্রিপুরা(৯) নামের এক শিশু বজ্রপাতে নিহত হয়েছে। ১৭মার্চ শনিবার বিকেলে বছরের প্রথম বৃষ্টিপাতে সময় এ ঘটনা ঘটে। নিকিতা ত্রিপুরা আরবাড়ীপাড়া এলাকার প্রতিন কুমার ত্রিপুরার কন্যা ও শ্বশানটিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর ছাত্রী। উপজেলার বাইল্যাছড়ির আরবাড়ীপাড়া গ্রামে নিজ বাড়ীতে বিকেল ৩টার দিকে বৃষ্টি চলাকালীন সময়ে লিপিকা ত্রিপুরা ও তার মা রতœা রতন বালা ত্রিপুরা’র সাথে বাড়ীর আঙ্গিনায় বসা অবস্থায় আকষ্মিক বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। উপজেলা সদর থেকে আরবাড়ীপাড়ার দুরত্ব প্রায় ১২কিঃমিঃ যা অত্যন্ত দূর্গম ও পাহাড়ী এলাকা। গুইমারা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হরিপদ্ম ত্রিপুরা ও গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন টিটো ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এদিকে আমাদের মহালছড়ি প্রতিনিধি জানান, মহালছড়ি উপজেলার করল্যাছড়ি গ্রামে ১ মহিলা আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ১৭ মার্চ শনিবার বিকাল ৪ টার দিকে আকস্মিক বজ্রপাতে করল্যাছড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অমলেন্দু চাকমার স্ত্রী শেফালী চাকমা (২৫) বজ্রপাতের ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন মহালছড়ি সদর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শেফালী চাকমা নিজ বাড়িতে গৃহাস্থলির কাজে ব্যস্ত থাকাবস্থায় বজ্রপাতে শিকার হন। এ সময় শেফালী চাকমার গলায় পরিহিত রুপার চেইন পুড়ে গিয়ে কয়েক টুকরো হয় এবং সোলারের ব্যাটারী ব্লাস্ট হয়ে যায়।স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিসক ডা: তনয় তালুকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বজ্রপাতের ঘটনায় শেফালী চাকমা গলার কিছু অংশ পুড়ে গেছে। তবে, তিনি এখন আশংকা মুক্ত।