স্টাফ রিপোর্টার: খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলা মরাডলু গ্রামের নির্ঝণ ছড়ায় পড়ে থাকা উলাইউ মারমা(৬৫) নিথর দেহ উদ্ধারের পর নিহতের লাশ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এদিকে নিহতের স্ত্রী চাইন্দাউ মারমা স্বামীর মৃত্যুর ঘটনার প্রকৃত রহস্য উৎঘাটনে একটি মামলা দায়ের করেছে।
সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মরাডলু গ্রামের উলাইউ মারমা (৬৫) পিতা-কংচাই মারমা বয়স্ক হলেও সে নিয়মিত চোলাই মদ পান করত। গত ১ জুন বিকালে মদপানের উদ্দেশ্যে বাড়িতে বের হয়ে গেলেও আর ফিরে আসেনি। ৪ জুন শেষ বিকালে বাড়ির অদূরে ছড়া/খালের(ডলুখাল) দিক থেকে লাশের পচা গন্ধ পেয়ে বাড়ির লোকজন নির্ঝণ খাল পাড়ে গিয়ে পানি এবং শুকনায় পড়ে থাকা নিথর দেহ শনাক্ত করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে প্রথমে অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন এবং পরে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সঙ্গীয় র্ফোস নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং লাশ উদ্ধার করে গভীর রাতে থানায় নিয়ে আসে। লাশে পচন ধরায় দেহ ক্ষত-বিক্ষত আকার ধারণ করেছে। ৫ জুন সকালে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে নিহতের ৩য় স্ত্রী চাইন্দাউ মারমা স্বামী মৃত্যুর ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে স্বামী একজন মদ্যপ উল্লেখ করে তিনি বলেন,পূর্বশস্ত্রতার বশে কেউ তার স্বামীকে হত্যা কিংবা মদ্যপ অবস্থায় শরীরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রবল বৃষ্টিতে ছড়া/খালে পড়ে মৃত্যু হয়েছে কী না বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থার আবেদন জানান।
এ প্রসঙ্গে অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন বলেন, নিহত ব্যক্তি নিয়মিত মদ পান করত। বিষয়টি একবাক্যে পরিবারের সবাই স্বীকার করেছে। ১ জুন সোমবার বিকালে সে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। ওই দিন রাত এবং পরদিন এলাকায় প্রচুর বৃষ্টি থাকায় মরাডলু ছড়া বা খালে পানির স্রোত প্রবাহিত হয়। লাশ উদ্ধারকালে মরদেহটি ছড়ায় পানি এবং শুকনায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
মরদেহে পোকা-মাকড়ের আচরে কিংবা অন্য কোন কারণে প্রচুর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য লাশ ময়না তদন্তে প্রেরণ করা হয়েছে। বাদীর লিখিত অভিযোগ আমলে নিয়ে আপাতত হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্তের পর প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী মামলাটি সংশ্লিষ্ট ধারায় ফেলে চুড়ান্ত প্রতিবেদনসহ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।