• October 8, 2024

রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ’র দু’গ্রুপের গুলিবিনিময়, সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১: অপহৃত ২

রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটিতে ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) দুই গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহতের নাম-ধর্ম সিং চাকমা। এ ঘটনায় হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দুই নেত্রীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় অপর পক্ষ। অহৃতরা হলেন-হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা ও কেন্দ্রীয় সদস্য দয়াসোনা চাকমা। রোববার (১৮মার্চ) সকালে উপজেলার কুদুকছড়ি ইউনিয়নে বাজারের এঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জন্য ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা ইউপিডিএফের বিদ্রোহী গ্রুপকে (বরমা গ্রুপ) দায়ী করেন।

ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রচার ও প্রকাশনাবিভাগ নিরন চাকমা জানান, কুদুকছড়ি বাজারের ইউপিডিএফের (বিদ্রোহী গ্রুপ) বড়মা গ্রুপের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়ক থেকে কয়েক শ’ গজ দূরে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা ধর্ম সিং চাকমাদের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। দুর্বৃত্তরা ছাত্রদের একটি মেসে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা ও কেন্দ্রীয় সদস্য দয়াসোনা চাকমাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে আবাসিকের বৌদ্ধ মন্দিরের পাশ দিয়ে খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কের পর্ব পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায়। এঘটনায় প্রতিবাদে হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ ও ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সংযোগ সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা দেখা দেয়।

রাঙামাটি কতোয়ালী থানার কর্মকর্তা (ওসি) সত্যজিৎ বড়–য়া এঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পাহাড়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনাইটেডপিপল্স ডেমোক্রেটিকফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর দু’গ্রুপের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ইউপিডিএফ অর্থাৎ মূল দলের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক। ঘটনার সময় একই গ্রুপের হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দুই নারী নেত্রীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনটি। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।  বর্তমানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এ ব্যাপারে  ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা এ হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক’ অভিহিত করে বলেন, রাজনৈতিকভাবে ইউপিডিএফকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাদের উত্থানকে রুদ্ধ করতে চাইছে। কিন্তু কোন ধরনের দমনপীড়ন ও সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে অতীতে ইউপিডিএফের অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করা যায়নি।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post