স্টাফ রিপোর্টার: খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নেই প্রায় একমাস ধরে। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় সেটু কুমার বড়ুয়া বদলী হয়ে চলে যাবার পর আর কাউকে এ উপজেলায় ইউএনও হিসেবে পোষ্টিং দেয়া হয় নি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ইউএনও সেটু কুমার বড়ুয়াকে বদলী করা হয়।। ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার তিনি শেষ কর্মদিবস পালন করেন।
লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার মানুষ। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে মানিকছড়ি ইউএনওকে আদেশ দিলেও তিনিও রয়েছেন বিশেষ প্রশিক্ষণে দেশের বাহিরে। ইউএনও না থাকার কারণে বেশি ভোগিান্তির শিকার হচ্ছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। বর্তমানে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ বিশাল নিয়োগ দেয়ায় এই জেলায় স্থানীয় রাজা কিংবা জেলা প্রশাসকের স্থায়ী বাসিন্দা সনদ বাধ্যতামূলক। তাই হেডম্যান এর প্রত্যায়ন নেয়ার পর ইউএনও’র প্রতিবেদনের পরেই ডিসি কিংবা রাজা স্থায়ী বাসন্দিা সনদে স্বাক্ষর করেন। এমতাবস্থায় চাকুরী প্রত্যাশী শত শত ছেলে-মেয়ে ইউএনও’র প্রতিবেদন না পেয়ে চরম হয়রানীর শিকার হচ্ছেন।
এছাড়াও প্রতিনিয়িত অপরাপর অফিস গুলোর দাপ্তরিক কাজ তো রয়েছে। জন্ম নিবন্ধন, টিসিবি, ভিজিডি-ভিজিএফসহ উন্নয়নমূলক কাজে রয়েছে ইউএনও’র সম্পৃক্তা। সকলে ক্ষেত্রে নেমে এসেছে স্থবিরতা। থমকে গেছে উন্নয়ন কর্মকান্ড। জরুরী ভিত্তিতে এই উপজেলায় ইউএনও পোষ্টং দেয়া না হলে এই ভোগান্তির পাহাড় আরো উচুঁ হবে বলে সাধারণ মানুষ মনে করে।উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের ধারবাহিক কাজগুলো ইউএনও না থাকায় করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। তাই অতি দ্রুত ইউএনও পোষ্টিং দেয়ার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।