লক্ষ্মীছড়িতে নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
![লক্ষ্মীছড়িতে নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন](https://pahareralo.com/wp-content/uploads/2022/03/261.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় মহান স্বাধীনতা দিবসের নানা আয়োজনের শুভ সূচনা হয়। এর পর সকাল ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, সালাম গ্রহণ, ডিসপ্লে প্রদর্শন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা এবং পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়। বিকেলে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ এবং সবশেষ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ও ফানুস উড়ানো আলোক সজ্জা ছিল বাড়তি আকর্ষন।
মহান স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে উপজেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সামাজিক সংঘঠনের প্রস্তুতি চলে আগে থেকেই। ২৬ মার্চ সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উপজেলার সরকারী-বেসরকারী সকল ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলা প্রশাসন,পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা, আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠন, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন, জাতীয় পার্টি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন সারিবদ্ধভাবে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইশতিয়াক ইমন, জেলা পরিষদ সদস্য ও আ’লীগ সভাপতি রেম্রাচাই চৌধুরী, থানা অফিসার্স ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: ফোরকান হাওলাদার, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল ওহাব খন্দকারসহ সরকারী সকল দপ্তর প্রধান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্ত ও উৎসবমূখর পরিবেশে পুষ্পমাল্য অর্পনে অংশ নেন।
পরে উপজেলা পরিষদ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, সালাম গ্রহণ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ইশতিয়াক ইমন ও থানার অফিসার্স ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর। বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো হয়। এর পর ডিসপ্লে প্রর্দশন, ক্রীড়ানুষ্ঠান শেষে মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিকেল ৪টায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলা মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ফানুস উড়ানো উৎসব করা হয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় এবং অতিথি শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। মহান স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা প্রশাসনের এবারের নানা কর্মসূচিগুলো সুন্দর ও নিখুঁতভাবে জনসাধারণের মাঝে তুলে ধরার জন্য সন্তোষ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।