স্টাফ রিপোর্টার: লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ভারত থেকে সদ্য ফিরে আসা ৩জন নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে লক্ষ্মীছড়ি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। এর আগে
স্টাফ রিপোর্টার: লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ভারত থেকে সদ্য ফিরে আসা ৩জন নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে লক্ষ্মীছড়ি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। এর আগে আরো ৩জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। তারা অবশ্য শংকামুক্ত।
২৪ মার্চ মঙ্গলবার রাতে আখাউড়া স্থল বন্দর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে এসে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ছোট ভাইয়ের বাড়িতে আসেন। স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে গত ৬মার্চ ত্রিপুরা রাজ্যে এক আত্মীয়’র বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে একই পথে পাসপোর্ট ও ভিষা নিয়ে ক´বাজার মহেষখালী থেকে বাদল কান্তি দাশ(৫৪), স্ত্রী অসিমা বিশ্বাস(৪১) ও ছেলে দেবজিৎ দাশ(১৩) বেড়াতে যান। সেখান থেকে বাংলাদেশে ফিরে গতকাল রাত আনুমানিক ১২টার দিকে লক্ষ্মীছড়িতে ছোটভাই সঞ্জয় দাশের বাড়িতে আসেন। খবর পাওয়ার পর থানা পুলিশ, উপজেলা ও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনায় ভারত ফেরত ৩জনসহ বাড়ির আরো ২জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজি মোহাম্মদ সাইফুল আলম জানান, আমাদের মেডিকেল টীম গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছে এবং আগামী ১৪দিন বাধ্যতামূলক তারা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। শুধু তাই নয় তাদের সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিরাও এর আওতায় পরবে। আতংকিত হওয়ার কেছু নেই, সচেতন ও সতর্কতাই সুস্থ্য থাকার এক মাত্র পন্থা।
লক্ষ্মীছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ হুমায়ুন কবির বলেন, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলাকে পুরোপুরি লক ডাউনের ঘোষণা না দিলেও আমরা সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য নিদের্শনার আলোকে সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে সাধারণ জনগনকে সচেতন হওয়ার কাজটি করে যাচ্ছি। অযথা যাহাতে কেউ ঘোরাঘুরি না করে সেই নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক সাপ্তাহিক হাট বাজার বন্ধ রাখা হয়েছে। ভারত ফেরত আসা ৩জনকেও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া দোকান-পাট, হাট-বাজারে জনসাধারণকে না আসারও আহবান জানান তিনি। তবে আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে বলে জানান তিনি। এর আগে যে তিনজন বিদেশ ফেরত তারা শংকামূক্ত বলে জানা গেছে।