ইউপিডিএফ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী নুতন কুমার চাকমার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: নিপীড়িত শোষিত বঞ্চিত মানুষের পক্ষে কথা বলতে ‘ব্যালটের মাধ্যমে প্রকৃত বন্ধুর হাতকে শক্তিশালী করার’ আহ্বান জানিয়েআসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ নং খাগড়াছড়ি আসনের ইউপিডিএফ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী (সিংহ প্রতীক) নুতন কুমার চাকমার পক্ষে১৪ দফার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে। ইউপিডিএফ’র প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগ নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রেসবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

ইশতেহারে ভূমি অধিকার; বন্দী মুক্তি,ধরপাকড় বন্ধ,মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা; সর্ব প্রকার নারী নির্যাতন রোধ; পরিবেশ বিপর্যয় রোধ ও পর্যটন ব্যবসা; কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী সাধারণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়; শিক্ষা ও চাকুরি সংক্রান্ত; প্রত্যাগতও আভ্যন্তরীণশরণার্থী; সামাজিক সুরক্ষা; স্বাস্থ্য সেবা ও জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত; অপসংস্কৃতি রোধ, বিচ্যুত যুবকদের পুনর্বাসন; খনিজ সম্পদ ও স্থল বন্দর; পার্বত্য চট্টগ্রামের বৃহৎ সামাজিক উৎসব ছুটি–এসব বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

আজ ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই ইশতেহার ঘোষণার কথা জানানো হয়।

২৯৮ নং খাগড়াছড়ি আসনের ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয় কমিটি কমিটি’ কর্তৃকপ্রকাশিত ৮ পৃষ্ঠার ইশতেহারে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না হওয়ায় সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামের নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে ইশতেহারে বলা হয়, ‘এখানেক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বছর খানেক আগেই। নীল নক্সা মতো ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর প্রত্যক্ষ সেনা মদদে ইউপিডিএফ থেকে বহিষ্কৃত বিচ্যুত দুষ্কৃতিকারী যুবকদের দিয়ে একটি ঠ্যাঙ্গারে বাহিনী গঠন করে মাঠে নামানো হয়। এ পর্যন্ত এ ঘাতকচক্রের হাতে সাধারণ মানুষসহ ইউপিডিএফ-এর প্রায় ৩০ নেতা-কর্মী-সমর্থক প্রাণ হারিয়েছেন। এ ভাড়াটে খুনীচক্র পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণকে মনস্তাত্ত্বিক চাপ ও আতঙ্কের মধ্যে রেখেছে। মূলতঃ পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি সংসদীয় আসন করায়ত্ত করার লক্ষ্যে এ বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাদের লক্ষ্য ভয় দেখিয়ে ক্ষমতাসীন দলের পোষমানা প্রার্থীকে ভোট দিতে জনগণকে বাধ্য করা, অথবা এলাকা দখলে রেখে ফাঁকা ভোট কেন্দ্রে জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে জিতিয়ে দেয়া’।

ইশতেহারে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে বাঙালি জাতীয়তা চাপিয়ে দেয়া, খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি-বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত ভূমি বেদখল ও হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ, নারী নির্যাতন, খুন-গুম ও অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ভূমিকা পালন না করায় পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত ক্ষমতাসীন দলের সাংসদদের কড়া সমালোচনা করা হয়।

ইউপিডিএফ-এর কিছু নীতিগত দিকও তুলে ধরা হয় ইশতেহারে। এতে বলা হয়-
ক। ইউপিডিএফ যে কোন জাত্যাভিমানি উগ্র জাতীয়তার বিরোধিতা করে, একইভাবে সংকীর্ণ গোষ্ঠীকেন্দ্রিক আঞ্চলিকতা সাম্প্রদায়িকতাও বরদাস্ত করে না। জনগণের মাঝে বিভেদ নয়, প্রত্যেক জাতিসত্তার অস্তিত্বের স্বীকৃতি, সমান অধিকার ও সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে ইউপিডিএফ ঐক্য সংহতি স্থাপন করতে চায়।
খ। এ দল পুরানবস্তী বাঙালিসহ পাহাড়িদের দাবি আদায়ে যেমন বদ্ধপরিকর, তেমনি সেটলার জনগণের অধিকারের ব্যাপারেও সমান উদ্বিগ্ন। পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারের রাজনৈতিক গুটি হিসেবে ব্যবহৃত সেটলারদের জীবিকার নিশ্চয়তাসহ সম্মানভাবে তাদের সমতলের জেলাসমূহে (তাদের আদি নিবাস) পুনর্বাসনের দাবি জানাবে।
গ। গণবিরোধী, বির্তকিত অধ্যাদেশ ও বিবিধ কালো আইন পাসের মাধ্যমে দেশের বর্তমান সংবিধান ক্রমেই অকার্যকর হয়ে পড়ছে। সংবিধানের দোহাই দিলেও বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলসহ শাসকগোষ্ঠীই সংবিধান মানছে না, বিভিন্নভাবে লংঘন করছে। দেশের শাসনকার্য পরিচালনায় নতুন সংবিধান প্রণয়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনী আইন বাতিলসহ ইউপিডিএফ দেশের জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে নতুন সংবিধান রচনার দাবি উর্ধ্বে তুলে ধরবে।
ঘ। ইউপিডিএফ পাহাড়ি-বাঙালি রেষারেষি, জনজীবনে বিষিয়ে তোলা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি-খুন-খারাবি-এ সকল দুষ্টচক্র ভাঙতে চায় এবং জনগণ প্রত্যক্ষভাবে পাশে থাকলে এ সকল দুষ্টচক্র ভাঙতে জোর প্রচেষ্টা চালাবে।
ঙ। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগসহ সকল নিয়োগবাণিজ্য, ঘুষ, টেন্ডারবাজি, অসাধু সিন্ডিকেট, দুর্নীতি, কালোবাজারি… এর বিরুদ্ধে ইউপিডিএফ সোচ্চার রয়েছে এবং থাকবে। ইউপিডিএফ পার্টির অভ্যন্তরেও সজাগ এবং ধারাবাহিকভাবে শুদ্ধি কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। যার ফলে দুষ্কৃতী কর্মীরা বহিঃষ্কৃত হয়, ঝরে পড়ে। শাসকগোষ্ঠী একটি নীতিভ্রষ্ট চক্রের সহায়তায় এসব দুষ্কৃতীদের কুড়িয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছে। এ ত্রাস ভাঙার এটাই উপযুক্ত সুযোগ। এ ত্রাস ভাঙতে নিজেদের শক্তিশালী অস্ত্র প্রয়োগ করুন। আপনাদের মূল্যবান ভোটই সেই অস্ত্র। উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত কাজ করতে ব্যর্থ হলে এরা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। ফলে দুর্ভোগ আরও প্রকট হয়ে উঠবে।

ইশতেহারে ইউপিডিএফ মনোনীত প্রার্থী নির্বাচিত হলে যে ১৪ দফা প্রাধান্য দিয়ে জনস্বার্থে নিবেদিত থাকার কথা বলা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে-
১। ভূমি অধিকার : পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের প্রথাগত ভূমি অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভূমি দস্যুদের আগ্রাসন রোধ, পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকুরিরত সরকারি কর্মকর্তাদের পাহাড় বন্দোবস্তি প্রদান বন্ধ করা, বিভিন্ন কোম্পানির নিকট হাজার হাজার লিজ দেয়া ও সেনা ক্যাম্প নির্মাণ-সম্প্রসারণ ইত্যাদির নামে পাহাড়িদের উচ্ছেদ বন্ধ করা;

২। বন্দী মুক্তি,ধরপাকড় বন্ধ,মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা :সংবিধান স্বীকৃত স্বাধীন মত প্রকাশ ও সভা-সমাবেশের অধিকার সমুন্নত রাখা; ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলায় আটক ইউপিডিএফসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তিদান, অন্যায় ধরপাকড় বন্ধ, ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার;

৩। সর্ব প্রকার নারী নির্যাতন রোধ :সর্বস্তরে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে পদক্ষেপ গ্রহণ, নারী নির্যাতনকারী ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি বিধান করা,

৪। পরিবেশ বিপর্যয় রোধ ও পর্যটন ব্যবসা :ভূমি ধস রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, অবৈধভাবে পাহাড় কাটা, পাথর উত্তোলন রোধ, পর্যটনের নামে পরিবেশ ক্ষতিসাধন অনুমোদন না দেয়া;
৫। কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী সাধারণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় : কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণে দালাল-ফরিয়াদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ, উন্নত ফসলের বীজ ও জৈবসার সহজলভ্য করা; হিমাগার প্রতিষ্ঠা; কাপ্তাই হ্রদের পানি চাষাবাদ ও ফসল উত্তোলনের মৌসুমে নির্দিষ্ট স্তরে রাখা; প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশুদ্ধ খাবার জল নিশ্চিত করতে যথাযথ উদ্যোগ নেয়া;
– স্বল্পসুদে সহজ শর্তে ঋণ লাভে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারদের সহায়তাদান;
-শ্রমজীবী জনসাধারণের ন্যায্য মজুরি আদায় ও বৈষম্যের শিকার শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা আদায়ে সহায়তা প্রদান। শিল্পাঞ্চলে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ’ ও ‘ইন্ডাস্ট্রিক গোয়েন্দা’ ব্যবস্থা তুলে দিতে ভূমিকা রাখা;

৬। শিক্ষা ও চাকুরি সংক্রান্ত : প্রাথমিক শিক্ষার ভিত মজবুত করতে সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখা; পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিল, পাঠ্য পুস্তকে পাহাড়িদের প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য বাদ দেয়া, ছাত্রদের স্বার্থ সংরক্ষণার্থে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত, শিক্ষক সংকট নিরসন, বর্ধিত ফি রোধ, তিন পার্বত্য জেলা সদরে পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের স্কুল ছাত্রাবাস পুনরায় চালুকরণ, কলেজ ছাত্রাবাস, খাগড়াছড়ি কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সে বিষয় সম্প্রসারণে উদ্যোগ গ্রহণ ও ভূমিকা রাখা;
-১ম ও ২য় শ্রেণীসহ সকল সরকারি-আধা সরকারি ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে পাহাড় ও সমতলের জাতিসত্তাসমূহের জন্য পূর্বতন ৫% কোটা সুবিধা বহাল রাখতে ভূমিকা রাখা;
-বিশেষ বিশেষ সুবিধা বঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ;
-আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান ও ক্ষুদ্র শিল্পের সম্প্রসারণ;

৭। প্রত্যাগতও আভ্যন্তরীণশরণার্থী : চুক্তি মোতাবেক অনতিবিলম্বে প্রত্যাগত শরণার্থীদের বাস্তুভিটা ও জমি ফিরিয়ে দেয়াসহ তাদের ন্যায্য প্রাপ্য নিশ্চিত করা; আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের জায়গা-জমি ফেরত প্রদানের ব্যাপারে ভূমিকা রাখা;

৮। সামাজিক সুরক্ষা : অসহায় বয়স্ক ব্যক্তি, বিধবা, প্রতিবন্ধীদের জীবন ধারণে সহায়তার জন্য সচেষ্ট হওয়া;

৯। স্বাস্থ্য সেবা ও জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত : সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি ওষুধ কালো বাজারে হাসপাতালের ওষুধ বিক্রি বন্ধে ভূমিকা রাখা;
শুটকী ও খাদ্য সংরক্ষণে বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার বন্ধে ভূমিকা রাখা; সর্বোপরি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখা;

১০। অপসংস্কৃতি রোধ, বিচ্যুত যুবকদের পুনর্বাসন : জুয়া, মাদক ও বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা; সমাজবিরোধীদের খপ্পড়ে পড়ে সমাজে উৎপাত সৃষ্টিকারী বখাটে যুবকদের সংশোধনের লক্ষ্যে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা;

১১। খনিজ সম্পদ ও স্থল বন্দর : পার্বত্য চট্টগ্রামের খনিজ সম্পদে জনগণের ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করা, সেমুতাং গ্যাসের ওপর স্থানীয় জনসাধারণে অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখা;
রামগড় ও ঠেগা অঞ্চলে স্থল বন্দর নির্মাণে জমি থেকে উচ্ছেদ হওয়া লোকজনকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ লাভে সহায়তা করা;

১২। পার্বত্য চট্টগ্রামের বৃহৎ সামাজিক উৎসব ছুটি : বৈসাবি (বৈসুক-বিঝু-সাংগ্রাই) উপলক্ষে নববর্ষসহ তিন দিন সরকারি ছুটি আদায়;

১৩। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ অন্যান্য অঞ্চলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহকে সরকারি দলিল ও মিডিয়ায় অসম্মানজনক “উপজাতি” নামে আখ্যায়িত না করতে আহ্বান জানানো;

১৪। রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আইনী জটিলতা ও সংসদে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য মোট ভোটারদের এক শতাংশ সমর্থনের স্বাক্ষর সংগ্রহের অযৌক্তিক বিধি তুলে দিয়ে নির্বাচনে “না ভোট” রাখার বিধান পুনঃচালু করে গণসচেতনতা গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখা;

ইশতেহারে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে সিংহ মার্কায় ভোট দিয়ে ইউপিডিএফ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী নুতন কুমার চাকমাকে বিজয়ী করে জাতীয় জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়নে ভূমিকা রাখার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

Read Previous

নৌকার সমর্থনে মাটিরাঙায় কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা’র প্রচারণা

Read Next

ইউপিডিএফ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী নুতন কুমার চাকমার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা