এমএন লারমা স্মরণে মহালছড়িতে জনসংহতি সমিতি’র দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি

মহালছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে পার্বত্যচট্টগ্রামের তৎকালীন গেরিলা সংগঠন জনসংহতি সমিতি’র প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’র স্মরণে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জনসংহতি সমিতি ( জেএসএস) এম এন লারমা পন্থী সংগঠন।

১০ নভেম্বর শনিবার সকাল ৮টায় মুবাছড়ি এলাকার ধনপুদি বাজার থেকে শোক র‌্যালী শুরু হয়ে খুলারাম পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসে এম এন লারমা’র অস্থায়ী বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পন, কালোব্যাজ ধারণ, এম এন লারমা’র আত্মার শান্তি কামনার্থে ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়। শোকসভায় প্রিয় কুমার চাকমা’র সঞ্চালনায় জনসংহতি সমিতির মহালছড়ি থানার সভাপতি নীল রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ও মহালছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য থুইলাঅং মারমা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সোনারতন চাকমা, সাবেক মাইসছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শান্তশীল চাকমা, মুবাছড়ি মৌজার হেডম্যান খ্যাচিং চৌধুরী।

এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সন্তোষ ময় চাকমা, ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এর সুভাষ চাকমা প্রমূখ। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন জেএসএস মহালছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ ময় চাকমা। এ কর্মসূচীতে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গগণ অংশগ্রহন করেন। সন্ধ্যায় হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও আকাশ বাতি উত্তোলন করার কর্মসূচী রয়েছে। আলোচনা শুরুতেই শহীদের আত্মার শান্তি কামনার্থে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে অপর আরেকটি সংগঠন ইউপিডিএফ (অগনতান্ত্রিক)কে পাহাড়ে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত সৃষ্টিকারী আখ্যা দিয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ শান্তি চাই, কোন সংঘাত চায়না। যারা পার্বত্যচট্টগ্রামে অশান্তি সৃষ্টি করছে তাদেরকে প্রতিরোধ করে চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনে শরীক হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।

উল্লেখ্য, পার্বত্যচট্টগ্রামে পাহাড়িদের অবিসংবাদিত নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর তারিখে জেএসএস এর বিদ্রোহী আরো একটি অংশের গুলিতে নিহত হন।

Read Previous

খাগড়াছড়ি আসনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন ফরম নিলেন ৪জন

Read Next

মাটিরাঙ্গায় বোমা বিস্ফোরণ মামলায় নেতা আটক, বিএনপির প্রতিবাদ