এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় ব্যক্তি স্বার্থ ত্যাগ করতে হবে- সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার

 আবদুল মান্নান,মানিকছড়ি: গুইমারা রিজিয়নের আওতাধীন সিন্দুকছড়ি জোনের অধীনস্থ মানিকছড়ি উপজেলার সার্বিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নে দল-মত নির্বিশেষে এবং ব্যক্তিস্বার্থ পরিহার করে সবাইকে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল রুবায়েত মাহমুদ শাকিব বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অসহায় জনগোষ্ঠির পাশে বিপদে-আপদে নিরলসভাবে কাজ করছে। একইভাবে রাজনৈতিক,ব্যবসায়ী,জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক সমাজ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরকে দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণার্থে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে। তাহলেই বিশ্ব দরবারে আমাদের অগ্রযাত্রা দৃষ্ঠান্ত হয়ে থাকবে।

১ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় মানিকছড়ি উপজেলা পরিষদ হল রুমে ইউএনও মো. আহসান উদদিন মুরাদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত মাসিক আইন-শৃঙখলা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিন্দুকছড়ি জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল রুবায়েত মাহমুদ শাকিব পিএসসি, জি। বিশেষে অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ¤্রাগ্য মারমা, উপজেলঅ স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নোমান মিয়া, অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রশীদ, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোফাজ্জাল হোসেন, উপ-অধিনায়ক মেজর মো. তৌহিদুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান রাহেলা আক্তার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈন উদ্দীন, ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ফারুক,মো. শহিদুল ইসলাম মোহন, তিনটহরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. আতিউল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও যোগ্যাছোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম.কে. আজাদ, মানিকছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপ্লব বিজয় চক্রবর্তী,বড়ডলু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বশির আহম্মদসহ উপজেলার সকল বিভাগীয় কর্মকর্তা,সাংবাদিক, সেনা কর্মকর্তা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভার শুরুতে প্রধান সেনা কমান্ডার লে. কর্ণেল রুবায়েত মাহমুদ শাকিব পিএসসি, জি নিজেকে এ অঞ্চলের সেবক হিসেবে বিবেচনায় এনে সবাইকে সূখ-দুঃখের চিত্র তুলে ধরার আহব্বান করেন। পরে  রাজনৈতিক নেতা মো. জয়নাল আবেদীন,শিক্ষক মো. আতিউল ইসলাম, অফিসার মো. আবদুল জব্বার, মো. শহীদুল্লাহ, জনপ্রতিনিধি রাহেলা আক্তার, অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রশীদ, উপজেলা চেয়ারম্যান ¤্রাগ্য মারমা বক্তব্য রাখেন।  বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দেশ ও মানব সেবায় হাজারো ঐতিহ্য রয়েছে। এ অঞ্চলের পরতে পরতে সেনাবাহিনীর অবদান স্মরনীয়। ক্রীড়া-সাংস্কৃতি, চিকিৎসাসেবা, দরিদ্র জনগোষ্টির কর্মসংস্থানে সেলাই প্রশিক্ষণ, রাস্তা-ঘাট উন্নয়ন, শীতবস্ত্র বিতরণে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ন্যায় এগিয়ে আসায় মানুষ শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে।

পরে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, এদেশ আমার,আপনার সকলের। তাই দেশের উন্নয়নে সবাইকে ব্যক্তিস্বার্থ ত্যাগ গঠনমূলক কাজে সহযোগিতা করতে হবে। ভূল-ত্রুটি থাকলে আলোচনার মাধ্যমে সংশোধন করে এগিয়ে যেতে হবে। সোজা পথে না গিয়ে অহেতুক সমালোচনা,কানাঘুষা, রাজপথে গিয়ে বিশৃঙখলা করলে সমাজ উন্নয়ন ও সেবামূলক কাজে ব্যাঘাত আসবে। তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অসহায় জনগোষ্ঠির পাশে বিপদে-আপদে নিরলসভাবে কাজ করছে। একইভাবে রাজনৈতিক,ব্যবসায়ী,জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক সমাজ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরকে দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণার্থে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে। তাহলেই বিশ্ব দরবারে আমাদের অগ্রযাত্রা দৃষ্ঠান্ত হয়ে থাকবে। পরে সভাপতি ইউএনও মো. আহসান উদদিন মুরাদ বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী  প্রশাসনিক কর্মকান্ডে সহায়ক শক্তি হিসেবে যে অবদান রাখছে, তা অতুলনীয়। এ ধারা অব্যাহত থাকলে পাহাড়ি জনপদের চিত্র অচিরেই পাল্টে যাবে।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post