মহামারী করোনার প্রভাবে লক্ষ্মীছড়িতে শাহ এমদাদীয়া পোল্ট্রি ফার্ম ২০লাখ টাকা ক্ষতির সম্মুখিন

মোবারক হোসেন: মহামারি করোনা ভাইরাসের ছোবলে সারা বিশ্ব যখন স্থবির। বাংলাদেশেও একের পর এক ছড়িয়ে পরছে ৫৫হাজার বর্গমাইল জুড়ে এ করোনা ভাইরাস। ইতিমধ্যেই ৬০টি জেলা সংক্রমিত হয়েছে। খাগড়াছড়িসহ আরো ৩টি জেলা করোনামুক্ত রয়েছে। তবে পুরো দেশ অঘোষিত লক ডাউনের কবলে। সারা দেশে গণ পরিবহন বন্ধ। বন্ধ রয়েছে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াত ব্যবস্থা। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলাও যাতায়াত নেই। বন্ধ রয়েছে সাপ্তাহিক হাঁট-বাজার। এমনি অবস্থায় দেশের পোল্ট্রি শিল্প হুমকির মুখে পড়েছে। বাচ্চা উৎপাদন থেকে শুরু করে খাবার সংকটে চরম ক্ষতির সম্মুখিন এই পোল্টি শিল্প। লক্ষ্মীছড়ি সমুড় পাড়া এলাকায় অবস্থিত শাহ এমদাদীয়া পোল্ট্রি ফার্ম’র গিয়ে দেখা গেলো এমন চিত্রই। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে প্রায় ২০লাখ টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে এই পোল্ট্রি খামারটি।

প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১০সালে ৬ হাজার ব্রয়লার বাচ্চা দিয়ে শুরু এই খামারটি। চার স্তরে বিশাল সেড তৈরী করা হয়েছে। ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার শরীফের সৈয়দ এমদাদুল হক এর ব্যক্তি মালিকানাধীন গড়ে ওঠা শাহ এমদাদীয়া পোল্ট্রি ফার্ম নামে এই প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান ২২০নং ময়ূরখীল মৌজায় সমুড় পাড়া এলাকায়। প্রাথমিক পর্যায় ৬হাজার ব্রয়লার দিয়ে ২৪হাজার ব্রয়লার উৎপাদন করার লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে যাত্রা শুরু করে এই খামার। দুই বছরের মাথায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যায়। এরপর থেকে প্রতি দুই মাস অন্তর ২৪হাজার সোনালী মুরগী উৎপাদন করে আসছে শাহ এমদাদীয়া পোল্ট্রি ফার্ম। এই এলাকায় মুরগীর চাহিদা ভালো থাকায় প্রতি বছর বছর লাভের মুখ দেখে আসছে এই পোল্ট্রি খামারে। স্থানীয় বাজার ছাড়াও ফটিকছড়ি ও চট্টগ্রামে মুরগী সরবরাহ করা হয় এই খামার থেকে। কিন্তু এই বছরই ঘটে গেলো ব্যতিক্রম। বৈশ্বিক করোনার ছোবলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হলো শাহ এমদাদীয়া পোল্ট্রি ফার্ম। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিক্রি করার উপযোগী প্রায় ১২হাজার মুরগী সরবরাহ করতে না পেরে অতিরিক্ত খাদ্য দিতে হচ্ছে প্রতিদিনই। এদিকে খাদ্য সংকটেও পড়েছে খামারটি।

এ বিষয়ে কথা হয় শাহ এমদাদীয়া পোল্ট্রি ফার্ম এর ম্যানেজার মো: সুজাফর মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, আমরা কখনই এমন পিরিস্থিতির মুখোমুখি হই নি। ফার্মটি চালু করার কয়েক বছর পর থেকেই লাভের মুখ দেখে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। বিগত ৫বছর ধরে এরাকার চাহিদা মিটিয়ে শহরে সরবরাহ করা হয় মুরগী। সরবরাহ বন্ধ থাকায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েঠে এই পোল্ট্রি ফার্ম। বর্তমানে প্রায় ১০লাখ টাকা ইতিমধ্যে লোকশান হয়ে গেছে। এই অবস্থা যদি আরো এক/দুই সপ্তাহ চলে তাহলে প্রায় ২০লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পড়বে এই খামার। ফলে শ্রমিক বেতন ও পোল্ট্রি খামারে খাবার সংকট প্রকোট আকার ধারণ করবে।

ম্যানেজার মো: সুজাফর মিয়ার আরো বলেন, এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে সরকারের সহযোগীতা জরুরী হয়ে পড়বে। সরকার যদি এই পোল্ট্রি শিল্পকে প্রনোদনা দিয়ে সহযোগিতা করে তাহলে আবারো এই পোল্টি ফার্ম ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে তিনি মনে করেন।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post